সারা সিরিজে স্টোকসকে তো খুঁজেই পেলাম না

বৃহস্পতিবারের মোতেরায় সবচেয়ে বেশি প্রশংসা পাবে সিরাজ। ছেলেটা যখনই টিমে সুযোগ পেয়েছে, নিজের সেরাটা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মতো বাউন্সি পিচে যেমন, তেমনই দেশের মরা পিচেও ও উজাড় করে দিয়েছে নিজেকে। একটা প্লেয়ারকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয় এই তাগিদটাই

সারা সিরিজে স্টোকসকে তো খুঁজেই পেলাম না
Follow Us:
| Updated on: Mar 04, 2021 | 8:33 PM

ইংল্যান্ড ২০৫ ভারত ১৫-১

শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়

আচ্ছা, বেন স্টোকস কি ভারত সফরে আসেনি? আমার প্রশ্নটা শুনে হয়তো অনেকেই অবাক হবে। সত্যি বলতে কী, স্টোকসের ছায়াও যদি ভারত সফরে হাজির থাকত, তা হলে ইংল্যান্ডের এত খারাপ অবস্থা হত না! বৃহস্পতিবার মোতেরায় চোখ রাখতে রাখতে আমার বারবার মনে হচ্ছিল, যে স্টোকসকে এতদিন দেখে আসছি, এই স্টোকস তার ধারেকাছে নেই। যদি থাকত, ৫৫-তে থেমে যেত না। একটা দেড়শো রানের ইনিংস খেলে টিমকে শক্ত জমির উপর দাঁড় করিয়ে দিত। ইংল্যান্ড কিন্তু টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বড় রান তোলার একটা দারুণ সুযোগ পেয়েছিল। সেটা কাজে লাগাতে পারেনি।

আমি ভাবছি অন্য কথা। এ বার ইংল্যান্ড টিমের ২০৫ রানে অল আউট হওয়া দেখে ওদের প্রাক্তনরা আর মিডিয়া কী বলবে? পিচের দোষ দেবে? ঘূর্ণি উইকেটের জন্যই ওরা আবার মুখ থুবড়ে পড়ল মোতেরায়, তা তো আর বলতে পারবে না। স্পিনারদের পাশাপাশি পেসারদের জন্যও যথেষ্ট মশলা রয়েছে মোতেরায়। তবে, ইংল্যান্ড কিন্তু সব পারে! বলা যায় না, হয়তো নতুন কোনও দিক হয়তো খুঁজে বের করবে! সত্যিটা মেনে নিতেই হবে, ভারতকে চাপে ফেলে দেওয়ার মতো গভীরতা এই ইংল্যান্ড টিমের নেই। রুট খেললে ওরা খেলবে, রুট ব্যর্থ হলে পুরো টিম ব্যর্থ। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত একই গল্প ইংল্যান্ডের। স্টোকস আর ড্যান লরেন্সকে (৪৬) বাদ দিলে কার্যত অন্ধকারই দেখাচ্ছে ওদের টিমকে।

বৃহস্পতিবারের মোতেরায় সবচেয়ে বেশি প্রশংসা পাবে সিরাজ। ছেলেটা যখনই টিমে সুযোগ পেয়েছে, নিজের সেরাটা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মতো বাউন্সি পিচে যেমন, তেমনই দেশের মরা পিচেও ও উজাড় করে দিয়েছে নিজেকে। একটা প্লেয়ারকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয় এই তাগিদটাই। সেই কারণেই দিনের শেষে ওর ঝুলিতে জো রুট, জনি বেয়ারস্টোর মতো দুটো মূল্যবান উইকেট। মোতেরার এই পিচে ওর বাউন্সারগুলো দেখতে দারুণ লাগছিল। রুট আর বেয়ারস্টো লাইন মিস করে ওকে উইকেট দিয়ে গেল।

চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন বিরাট দারুণ ক্যাপ্টেন্সিও করল। দুটো প্রান্ত থেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পেসার আর স্পিনার ব্যবহার করল। আগেও বলেছি, ঘূর্ণি পিচ তো বটেই, এই রকম পিচেও অক্ষর সেরা বাজি। চারটে উইকেট নিয়ে ও সেটাই প্রমাণ করল। সেই সঙ্গে অশ্বিন আরও একবার চাপে রাখল ইংল্যান্ডকে। ওর ঝুলিতেও থাকল ৩টে উইকেট।

আরও পড়ুন:মানজিকে দিয়েই পাহাড় জয়ের ছক শঙ্করলালের

ম্যাচটা যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে একটা ব্য়াপার পরিষ্কার, ভারত যদি কাল একটা বড় রান তুলে ফেলতে পারে, তা হলে আবার চাপে পড়বে ইংল্যান্ড। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, এই ম্যাচটাতেও ফলাফল হবেই। যেমন সন্দেহ নেই, ভারতই এখন চালকের আসনে। কাল শুধু রোহিত-পূজারাকে একটা বড় ইনিংস খেলতে হবে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইংল্যান্ড ২০৫ (স্টোকস ৫৫, ড্যান ৪৬, পোপ ২৯, অক্ষর ৪-৬৮, অশ্বিন ৩-৪৭)। ভারত ১৫-১ (পূজারা ব্যাটিং ১০, রোহিত ব্যাটিং ৫)।