EURO2020 : বিশ্বকাপ ভুলে জয় দিয়েই ইউরোর খাতা খুলল আজুরি বাহিনী

ম্যাচের ৫৩ মিনিটে বেরার্ডির ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে তুরস্কের প্রথম বিপদ ডেকে আনেন ডেমিরাল। আত্মঘাতী গোল করে বসেন তিনি। এগিয়ে যায় রবার্তো মানচিনির দল। এরপরেই বদলে যায় নীল জার্সির শরীরী ভাষা। ধার বাড়তে থাকে আক্রমণের।ডিফেন্সের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আক্রমণের পথে চলে যায় ইতালি। তুরস্কের বক্সে ঘনঘন চাপ বাড়তে থাকে।

EURO2020 : বিশ্বকাপ ভুলে জয় দিয়েই ইউরোর খাতা খুলল আজুরি বাহিনী
জয়োচ্ছ্বাস ইতালির
Follow Us:
| Updated on: Jun 12, 2021 | 7:35 AM

 ইতালি-তুরস্ক

 ৩-০

 [ডেমিরাল ৫৩'(আত্মঘাতী গোল),ইমমোবিল(Ciro Immobile) ৬৬’, ইনসিগ্নে (Lorenzo Insigne) ৭৯’]

রোমঃ ২০১৮ বিশ্বকাপে যোগ্য অর্জন করতে না পারাটা এখনও দগদগে ঘায়ের মত রয়েছে নীল জার্সিতে। ৩ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সেই ব্যর্থতাই যেন এবারের ইউরোয় (EURO2021) মোটিভেশন ইতালির(ITALY) কাছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এই ভাষাতেই দলকে তাতিয়ে ছিলেন অধিনায়ক চিয়েল্লিনির(Giorgio Chiellini)। যার ফল ইতালি পেল প্রথম ম্যাচেই। ইউরোর উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্ককে(TURKEY) ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল ইতালি। দ্বিতীয়ার্ধে ৩ গোল করে ছন্দ ফিরে পেল আজুরিবাহিনী।

এদিন জমকালো উদ্বোধনের পর উদ্বোধনী ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল খানিকটা ম্রিয়মাণ। গোলের সুযোগ পেয়ে বার কয়েক এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও তুরস্কের গোলকিপাার উগুরকান শাকিরের দস্তানায় বন্দি হতে থাকে যাবতীয় সব আক্রমণ। চিয়েল্লিনির হেড প্রথমার্ধে প্রতিহত না হলে, শুরুতেই এগিয়ে যেত ইতালি। প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে বদলাতে থাকল ম্যাচের রং।

ম্যাচের ৫৩ মিনিটে বেরার্ডির ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে তুরস্কের প্রথম বিপদ ডেকে আনেন ডেমিরাল। আত্মঘাতী গোল করে বসেন তিনি। এগিয়ে যায় রবার্তো মানচিনির দল। এরপরেই বদলে যায় নীল জার্সির শরীরী ভাষা। ধার বাড়তে থাকে আক্রমণের।ডিফেন্সের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আক্রমণের পথে চলে যায় ইতালি। তুরস্কের বক্সে ঘনঘন চাপ বাড়তে থাকে। কোনঠাসা হতে শুরু করে কারামান-ইলমাজরা। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে দুরন্ত গোল ইমমোবিলের। ঘরের মাঠে জয়ের আশার আলো তখন থেকেই উঁকি মারতে শুরু করে মানচিনির সংসারে।

তুরস্কের কফিনে শেষ পেরেক পোতেন ইনসিগ্নে। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে। দ্বিতীয় গোল হজমের পরই ম্যাচ থেকে ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে তুরস্ক। যার ফায়দা তোলেন ইনসিগ্নে। প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতে ইতালি পেয়ে গেল প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস।ফের একবার প্রমাণ হল, কেন আজও বিশ্বফুটবলে অন্যতম ফেভারিটের নাম ইতালি।