Novak Djokovic: ‘ব্রোমান্সে’র জন্য বিবাহ বার্ষিকী ভুললেন নোভাক! স্ত্রী-কে কী উপহার দিলেন…

উইম্বলডন ট্রফি কোলে নিয়ে সু বার্কারের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন নোভাক। সঞ্চালিকাই নোভাককে মনে করান, অষ্টম বিবাহ বার্ষিকীর কথা। ড্য়ামেজ কন্ট্রোলে খুব বেশি সময় নেননি নোভাক।

Novak Djokovic: 'ব্রোমান্সে'র জন্য বিবাহ বার্ষিকী ভুললেন নোভাক! স্ত্রী-কে কী উপহার দিলেন...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2022 | 8:30 AM

লন্ডন : উম্বলডন ফাইনালের আগে অনেক কথা হয়েছে, নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic) এবং নিক কির্গিয়সের সম্পর্ক নিয়ে। শুধুই প্রতিপক্ষ! একেবারেই নয়। ব্রোমান্স! বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে পারেননি নোভাক। কোভিড টিকা না নেওয়ায় তাঁকে খেলতে দেওয়া হয়নি। হাতে গোনা কয়েকজন প্রকাশ্যে নোভাকের সমর্থনে দাঁড়িছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ার নিক কির্গিয়স। সে কারণেই উইম্বলডন (Wimbledon) ফাইনালের আগে ব্রোমান্স নিয়ে এত কথা। নোভাক অবশ্য সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কির্গিয়স যা করেছে, তার জন্য শ্রদ্ধা রয়েছে নোভাকের। তবে উইম্বলডন জেতার পথে এসব মাথায় রাখতে চান না, পরিষ্কার জানিয়েছিলেন। সপ্তম উইম্বলডন জিতে নোভাক ঘোষণা করলেন, সরকারীভাবে কির্গিয়সের সঙ্গে ব্রোমান্স শুরু হল। আজ না হোক কোনও একদিন, হয়তো দুজনায় ডিনার পার্টিতে যাবেন।

সবই ঠিক ছিল, তবে ব্রোমান্সের মাঝে, নোভাক জকোভিচ ভুলে মেরে দিয়েছেন বিবাহ বার্ষিকী! পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। উইম্বলডন ট্রফি কোলে নিয়ে সু বার্কারের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন নোভাক। সঞ্চালিকাই নোভাককে মনে করান, অষ্টম বিবাহ বার্ষিকীর কথা। ‘ড্য়ামেজ কন্ট্রোলে’ খুব বেশি সময় নেননি নোভাক। স্ত্রী জেলেনা স্ট্যান্ডেই ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ম্যাচ শেষ হতেই আলিঙ্গন করে এসেছেন। কিন্তু শুভেচ্ছা তো জানানো হয়নি। উইম্বলডন ট্রফি জড়িয়ে কিছুটা নার্ভাস ভঙ্গিতেই জেলেনার উদ্দেশে বললেন, ‘ডার্লিং-হ্যাপি অ্যানিভার্সারি।’ কিছুটা ধাতস্থ হয়ে উইম্বলডনের ট্রফি দেখিয়ে বললেন, ‘এটাই তোমার উপহার।’ কতটা চিড়ে ভিজল, ব্যক্তিগত মুহূর্তেই টের পাবেন নোভাক।

সপ্তম উইম্বলডন জিতে অনেক বড় স্বপ্ন পূরণ হয়েছে নোভাকের। সেন্টার কোর্টে দাঁড়িয়ে সেই কথাই শোনালেন। ‘এই টুর্নামেন্ট সম্পর্কে নতুক কী বলব, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমার কাছে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আমার বয়স তখন পাঁচ-ছয় হবে। ১৯৯২ সালে (১৯৯৩) পিট সাম্প্রাসকে প্রথম বার উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হতে দেখেছিলাম। তারপরই বাবা-মাকে বলি, আমাকে একটা ব়্যাকেট কিনে দিতে। টেনিস বলতে আমার কল্পনায় প্রথম আসে ঘাস এবং উইম্বলডন। একটা সময় এই প্রতিযোগিতায় খেলাটাই অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। যত বারই ট্রফি জিতি না কেন, এখানে বারবার আসতে ইচ্ছে করে, প্রতিবারই একই রকম বা তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব থাকে। আমি খুবই ভাগ্যবান, আরও একবার ট্রফি হাতে এখানে দাঁড়াতে পেরেছি।’