International Olympic Day: অলিম্পিকের একডজন অজানা গল্প

অলিম্পিক সম্পর্কে সব তথ্য হয়তো আমাদের জানা নেই। এমনই কিছু তথ্য তুলে ধরা হল।

International Olympic Day: অলিম্পিকের একডজন অজানা গল্প
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2022 | 6:30 AM

আজ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক দিবস (International Olympic Day)। অলিম্পিক সম্পর্কে সব তথ্য হয়তো আমাদের জানা নেই। এমনই কিছু তথ্য তুলে ধরা হল। হয়তো এই তথ্যগুলো জানা নেই। কিংবা জানা থাকলেও আরও একবার স্মরণে থাকল।

পাঁচ দেশের অনন্য নজির

বিশ্বের পাঁচটি দেশ সমস্ত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশ নিয়েছে। গ্রিস, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, সুইৎজারল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। তবে প্রতি বার সরকারিভাবে অংশ নিয়েছিল। ১৯৫৬ সালে অলিম্পিক বয়কট করে সুইৎজারল্যান্ড। তবে কয়েকমাস আগেই অলিম্পিকের ইকুয়েস্ট্রিয়ান ইভেন্টে অংশ নিয়েছিল। ১৯০৪ অলিম্পিকে ফ্রান্স দল পাঠায়নি। ফ্রান্সের এক অ্যাথলিট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মিলিত দলের হয়ে অংশ নেন। ১৮৯৬ অলিম্পিকে গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিয়েছিল। তেমনই ১৯০৮ এবং ১৯১২ অলিম্পিকে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে মিলিতভাবে অংশ নেয় অস্ট্রেলিয়া। গ্রিস একমাত্র দেশ, সব অলিম্পিকেই সরকারিভাবে অংশ নিয়েছিল।

মা ও মেয়ে

১৯০০ অলিম্পিকে মা ও মেয়ে গলফে্র একই ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। অলিম্পিকের ইতিহাসে সেটিই একমাত্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গলফার মার্গারেট অ্যাবোট চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তাঁর মা মেরি যুগ্মভাবে সপ্তম হয়েছিলেন।

মেডেল-নোবেল

একমাত্র অলিম্পিয়ান যিনি অলিম্পিকে মেডেল জিতেছেন এবং নোবেল পেয়েছেন। গ্রেট ব্রিটেনের ফিলিপ নোয়েল-বেকার ১৯২০ অলিম্পিকে ১৫০০ মিটারে রূপো পান। ১৯৫৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ফিলিপ।

সাংবাদিক সাঙ্ঘাতিক

গিয়েছিলেন অলিম্পিক কভার করতে। ফিরেছিলেন অলিম্পিক পদক নিয়ে। এমনটাই হয়েছিল ডেনমার্কের এক সাংবাদিকের। ১৯০০ অলিম্পিকের ঘটনা। ড্যানিশ সাংবাদিক এডগার আএবে অলিম্পিক কভার করতে গিয়েছিলেন। সুইডেন ও ডেনমার্কের মিলিত টাগ অফ ওয়ার দলের একজন অসুস্থ হওয়ায় এডগারকে দলে নেওয়া হয়। এই দল সোনার পদকও জেতে।

জয়ীকে রূপোর পদক!

১৮৯৬ সালে এথেন্সে প্রথম আধুনিক অলিম্পিকে চ্যাম্পিয়নকে দেওয়া হয়েছিল রূপোর পদক। রানার্সকে দেওয়া হয়েছিল ব্রোঞ্জ পদক। তৃতীয় স্থানাধিকারীর জন্য কোনও পদক ছিল না।

ওল্ড ইজ গোল্ড

গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নজির সুইডেনের অস্কার স্বাহনের। ১৯০৮, ১৯১২, ১৯২০ অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন এই শুটার। ১৯১২ অলিম্পিকে ৬৪ বছর ২৮০ দিন বয়সে সোনা জিতে নজির গড়েন অস্কার। ১৯২০ অলিম্পিকে সবচেয়ে বেশি বয়সে (৭২ বছর ২৮১ দিন) পদক জেতার নজির গড়েন। রূপো পেয়েছিলেন তিনি। মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সে অলিম্পিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নজির ব্রিটেনের লরনা জনস্টোনের। ১৯৭২ অলিম্পিকে ইকুয়েস্ট্রিয়ানে অংশ নেন তিনি। সে সময় বয়স ৭০ বছর ৫ দিন।

ভিন্ন তিন

জার্মানির ফ্র্যাঙ্ক কুগলার একই অলিম্পিকে তিনটি ভিন্ন খেলায় পদক জিতেছিলেন। জার্মানির হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ১৯০৪ সেইন্ট লুইস অলিম্পিকে মোট চারটি পদক জিতেছিলেন। ফ্রিস্টাইল কুস্তিতে রূপো, ভারোত্তোলনে দুটি ব্রোঞ্জ পদক এবং টাগ অফ ওয়ারে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন।

হতাশার নজির

হয়তো প্রত্যাশিত নয়। তবে নজির রয়েছে ভারতের দখলেও। অংশগ্রহণের নিরিখে সবচেয়ে কম অলিম্পিক পদক জয়ের হতাশার নজির ভারতের। টোকিও গেমসেই এক অলিম্পিকে সর্বাধিক সাতটি পদক জিতেছে ভারত।

কিশোরী ইঙ্গের কামাল

বয়স মাত্র ১২। ডেনমার্কের ইঙ্গে সোরেনসেন ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে ব্রোঞ্জ পেয়েছিল। ১৯৩৬ সালে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সবচেয়ে কম বয়সে পদক জয়ের নজির গড়ে ইঙ্গে।

বছরে দুই

পূর্ব জার্মানির ক্রিস্টা লুডিং-রথেনবার্গার একমাত্র ব্যক্তি, যিনি একই বছরে গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন অলিম্পিকে পদক জিতেছেন। তার এই রেকর্ড অক্ষতই থাকবে। এখন আর একই বছরে দুটি অলিম্পিক হয় না। ১৯৮৮ দুই অলিম্পিকে স্পিড স্কেটিংয়ে সোনা জেতেন এবং সাইক্লিংয়ে রূপো পান।

দুই দেশ, সোনার পদক

অলিম্পিকের ইতিহাসে তিনজন অ্যাথলিট রয়েছেন, যারা দুটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সোনাও জিতেছেন। রাগবি প্লেয়ার ড্যানিয়েল ক্যারোল ১৯০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে সোনা জেতেন। তেমনই ১৯২০ অলিম্পিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধিনিধিত্ব করে সোনা জেতেন। জিমন্যাস্ট শ্বেতলানা বোগিনস্কায়া সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ইউনিফায়েড দলের হয়ে সোনা জেতেন। বরং বলা যেতে পারে, তিন দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮৮ সোভিয়েত ইউনিয়ন, ১৯৯২ ইউনিফায়েড টিম, ১৯৯৬ বেলারুশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। জর্জিয়ান ভারোত্তলক ১৯৯২ অলিম্পিকে ইউনিফায়েড দল এবং ১৯৯৬ ও ২০০০ অলিম্পিকে গ্রিসের প্রতিনিধিত্ব করেন।

পরীক্ষা ছাড়া একমাত্র

অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রিন্সেস অ্যানে একমাত্র মহিলা প্রতিযোগী, যার লিঙ্গ পরীক্ষা হয়নি। ১৯৭৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রিন্সে অ্যানে। যুক্তরাষ্ট্রের ইকুয়েস্ট্রিয়ান দলে ছিলেন তিনি। কুইন এলিজাবেথের (দ্বিতীয়) কন্যা অ্যানে। সে কারণেই তাঁর পরীক্ষা করা ঠিক মনে হয়নি আয়োজক যুক্তরাজ্যের।