Divya Kakran: কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ মেডেলিস্ট কুস্তিগিরকে আর্থিক সাহায্য দিতে নারাজ দিল্লি সরকার

দেশে ফিরে আসার পর বিভিন্ন জায়গা থেকে দিব্যাকে সম্মানিত করার ঢল নেমেছে। কিন্তু নির্বিকার দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। টুইটারে ব্রোঞ্জ মেডেলিস্ট কুস্তিগিরকে শুকনো শুভেচ্ছা ছাড়া আর কোনও কিছু দিতে নারাজ আপ সরকার।

Divya Kakran: কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ মেডেলিস্ট কুস্তিগিরকে আর্থিক সাহায্য দিতে নারাজ দিল্লি সরকার
ব্রোঞ্জ মেডেলিস্ট দিব্যাকে সম্মান দিতে নারাজ দিল্লি সরকারImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2022 | 7:23 PM

নয়াদিল্লি: কমনওয়েলথ গেমসে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন কুস্তিগিররা। রবি দাহিয়া, বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগতদের সোনার পদক ছাড়াও এসেছে একাধিক রুপো ও ব্রোঞ্জ পদক। তাদেরই মধ্যে একজন দিব্যা কাকরান (Divya Kakran)। দিল্লি নিবাসী কুস্তিগির মেয়েদের ৬৮ কেজি ফ্রিস্টাইলে ব্রোঞ্জ পান। দেশে ফিরে আসার পর বিভিন্ন জায়গা থেকে দিব্যাকে সম্মানিত করার ঢল নেমেছে। কিন্তু নির্বিকার দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) সরকার। টুইটারে ব্রোঞ্জ মেডেলিস্ট কুস্তিগিরকে (Wrestler) শুকনো শুভেচ্ছা ছাড়া আর কোনও কিছু দিতে নারাজ আপ সরকার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আম আদমি পার্টির সরকারের যুক্তি, দিব্যা দিল্লিতে থাকলেও উত্তরপ্রদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। তাই দিল্লি সরকারের পক্ষে তাঁকে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া সম্ভব নয়।

কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ পদকের পর রাজধানীর মেয়ে দিব্যাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জবাবে দিব্যা কেজরিওয়ালের উদ্দেশে রীতিমতো তোপ দেগে টুইটে লেখেন, “পদকের জন্য ধন্যবাদ দেওয়ায় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই। গত ২০ বছর ধরে দিল্লিতে বসবাস করছি। কুস্তির অনুশীলন এখানেই করি। অথচ আজ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে কোনও আর্থিক সাহায্য মেলেনি। না কোনও সাহায্য পেয়েছি। শুধু এটুকুই আবেদন, অন্য খেলোয়াড়দের যেভাবে সম্মানিত করেন তা সে দিল্লি হোক বা অন্য কোনও রাজ্যের, সেভাবে আমাকেও সম্মানিত করুন।” যা নিয়ে ব্যপক জলঘোলা হয়। দেশে ফিরে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন দিব্যা। তাঁর দাবি, বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করলেও ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত দিল্লি হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এই সময়ের মধ্যে দিল্লি সরকারের কাছে কোনওরকম সাহায্য না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে দিল্লি ছেড়ে উত্তরপ্রদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে শুরু করেন। কুস্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রশংসা করেন কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ মেডেলিস্ট।

সাংবাদিক বৈঠকে কাকরানের দাবি, দিল্লি নিবাসী না হওয়া সত্ত্বেও কুস্তিগিররা কেজরিওয়াল সরকারের কাছ থেকে সুবিধা পায়। উদাহরণ হিসেবে সুশীল কুমার, সাইনা নেহওয়াল, যোগেশ্বর দত্ত, রবি দাহিয়ার কথা উল্লেখ করেন। জানান, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অতীতে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেননি।

দিব্যার সাংবাদিক বৈঠকেও কোনও কাজ হয়নি। দিল্লি সরকারের তরফে আম আদমি পার্টির বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ বলে দেন, ব্রোঞ্জ মেডেলিস্টকে কোনওরকম সাহায্য করার থেকে বিরত থাকবেন তাঁরা। তিনি বলেন, “ওই খেলোয়াড় দিল্লিতে থাকেন। ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত এই রাজ্যের হয়ে খেলেছেন। সম্মানের খাতিরে ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করায় আর্থিক সাহায্য করা হয়নি। আমরা তাঁকে সম্মান করি।”