টাইমিং নয়, ব্যক্তিগত ডুয়েলে জোর দিতে হবে, ১০০ মিটার নিয়ে কোন কিংবদন্তি দিচ্ছেন এমন যুক্তি?
Micheal Johnson: ট্র্যাক অ্য়ান্ড ফিল্ডের অধিকাংশ অ্যাথলিটই টাইমিংয়ে জোর দিচ্ছেন। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ঘিরে সেই উন্মাদনা নেই। যা নিয়ে চিন্তায় কিংবদন্তি মাইকেল জনসন।
লন্ডন: টাইমিং গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের প্রতি যদি সাধারণ মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে হয়, তা হল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। মেয়েদের ১০০ মিটারে সেই তুমুল লড়াই নেই। যা রীতিমতো চিন্তায় রেখেছে মাইকেল জনসনের (Micheal Johnson) মতো কিংবদন্তিকেও। মেয়েদের ১০০ মিটারে শেলি অ্যান ফ্রেজার প্রাইস (Shelly-Ann Fraser-Pruce), এলাইন থমসন হেরাই (Elaine Thompson-Herah) রাজত্ব করছেন। নতুন প্রজন্মের দু-একজন উঠেও আসছেন। কিন্তু সেই মাত্রার লড়াই নেই। এক সাক্ষাৎকারে জনসন বলছেন, এখন ট্র্যাক অ্য়ান্ড ফিল্ডের অধিকাংশ অ্যাথলিটই টাইমিংয়ে জোর দিচ্ছেন। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ঘিরে সেই উন্মাদনা নেই।
আটলান্টা অলিম্পিকে জোড়া সোনা জিতেছিলেন ১৯৯৬ সালে। মেয়েদের ১০০ মিটারে দ্রুততম মানবী এখনও সেই ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ জয়নার। ১০.৪৯ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়েছিলেন তিনি। তাঁর পরেই রয়েছেন থমসন (১০.৫৪ সেকেন্ড) ও ফ্রেজার প্রাইস (১০.৬০)। জনসনের ব্যাখ্যাই হল, ‘ইদানীং অ্যাথলিটরা অনেক বেশি টাইমিংয়ে জোর দিচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না যে কারণে। ঠিক এই কারণে ফ্রেজার প্রাইস, থমসন-হেরাকে আলাদা করে কৃতিত্ব দিতে পারছি না।’
১০০ মিটারে ফ্লোরেন্সের রেকর্ড ভেঙে দিতে চান থমসন। সেটাই লক্ষ্য হয়ে গিয়েছে তাঁর। জনসন বলেও দিচ্ছেন, ‘থমসনের ক্ষেত্রে একটাই জিনিস বলতে পারি, ওর এখন লক্ষ্যই হল ১০০ মিটারের বিশ্বরেকর্ডটা ভাঙা। তাতেও ও ফোকাস করছে। সেটা যদি শেষ পর্যন্ত না পারে থমসন, তা কিন্তু ওর বিরুদ্ধেই যাবে। মানুষ চরম হতাশ হবে।’
৩৫ বছরের ফ্রেজার প্রাইস ২০০৮ ও ২০১২ সালের অলিম্পিকে ১০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন। সব মিলিয়ে অলিম্পিক থেকে পেয়েছেন ৮টা পদক। ন’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তিনি। জনসন বলছেন, ‘ছোট একটা দ্বীপ থেকে দুই সেরা তারকা এখন ১০০ মিটারের ট্র্যাকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। শেষ চারটে অলিম্পিকের ১০০ মিটারে ওরাই চ্যাম্পিয়ন। তার পরও কিন্তু ওদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। এটাই আশ্চর্যের।’
ফ্লো-জো বিশ্বের একমাত্র স্প্রিন্টার যিনি ১৯৮৮ সালে ১০.৫ সেকেন্ডের কমে ১০০ মিটার দৌড়েছিলেন। ৩৪ বছর পার করেও নতুন দ্রুততম মানবী খুঁজে পায়নি বিশ্ব। ছেলেদের ১০০ মিটারে কিন্তু উসেইন বোল্টের মতো স্পিডস্টার উঠে এসেছিলেন। জনসনের মন্তব্য, ‘আমার তো মনে হয়, টাইমিংয়ে জোর না দিয়ে আরও বেশি করে এবিলিটির উপর ফোকাস করা উচিত। সেই সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইগুলোতে নজর দেওয়া দরকার। তা হলে কিন্তু আরও আকর্ষণীয় হবে এই ইভেন্টটা।’