Balbir Singh Sr: খোয়া গিয়েছে প্রয়াত বলবীরের একাধিক স্মারক, লড়াই জারি তাঁর পরিবারের

ভারতীয় কিংবদন্তি হকি প্লেয়ার বলবীরের হারিয়ে যাওয়া স্মারকগুলির মধ্যে ছিল, তাঁর অলিম্পিকের ব্লেজার, পদক এবং কিছু মূল্যবান ছবি।

Balbir Singh Sr: খোয়া গিয়েছে প্রয়াত বলবীরের একাধিক স্মারক, লড়াই জারি তাঁর পরিবারের
খোয়া গিয়েছে প্রয়াত বলবীরের একাধিক স্মারক, লড়াই জারি তাঁর পরিবারেরImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2022 | 7:30 AM

চন্ডীগড়: বিশ্বমঞ্চ থেকে দেশকে সোনা, রুপো, ব্রোঞ্জ এনে দিয়ে অনেক অ্যাথলিটই গর্বিত করে এসেছেন। বর্তমানেও ভারতীয় অ্যাথলিটরা সেই কাজ করে চলেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই যদি কোনও অ্যাথলিটের পাওয়া পদক চুরি হয়ে যায়, তাঁর মনের অবস্থা কেমন হবে ভাবুন তো? প্রয়াত ভারতীয় কিংবদন্তি হকি (Hockey) প্লেয়ার বলবীর সিং সিনিয়র (Balbir Singh) একটা সময় বলেছিলেন, “আপনি আপনার জীবনে যা অর্জন করেছেন, আপনার বৃদ্ধ বয়সে সেগুলো দেখে আপনি সুখ পেতে চান।” কিন্তু ততটা সুখী ছিলেন না বলবীর। ১৯৪৮ সালে লন্ডন অলিম্পিকে হকিতে ভারতের সোনাজয়ী দলের সদস্য ছিলেন বলবীর সিং। তবে একটা সময় তাঁর একাধিক স্মারক উধাও হয়ে যায়। ১৯৮৫ সালে স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে বলবীর সিং তাঁর স্মারক গুলি তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু গত ১০ বছর ধরে বলবীরের পাওয়া স্মারকগুলি উদ্ধার করতে পারেনি তাঁর পরিবার। তবে এই কাজে কোনও খামতি রাখেনি তাঁর পরিবার। বলবীর অলিম্পিক থেকে তিনটি সোনা জিতেছেন। ২০২০ সালের মে মাসে একাধিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার সঙ্গে লড়তে লড়তে হেরে যান বলবীর।

ভারতীয় কিংবদন্তি হকি প্লেয়ার বলবীরের হারিয়ে যাওয়া স্মারকগুলির মধ্যে ছিল, তাঁর অলিম্পিকের ব্লেজার, পদক এবং কিছু মূল্যবান ছবি। সাই-কে এই জিনিসগুলি দেওয়া হয়েছিল একখানা মিউজিয়ামে রাখার জন্য। আদতে কিন্তু কোনও মিউজিয়াম তৈরি হয়নি। গত ১০ বছর ধরে বলবীরের পরিবারের সদস্যরা তাঁর হারিয়ে যাওয়া স্মারকগুলি ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক প্রদর্শনীতে বলবীরের মেলবোর্ন গেমসের ব্লেজারটি চেয়েছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। কিন্তু তখনই বলবীরের পরিবার জানতে পারে, সেই জিনিসগুলি হারিয়ে গিয়েছে। বলবীরের নাতি কবির সিং বলেন, “যখন আমরা জানতে পারি নানাজির ব্লেজারটি পাওয়া যাচ্ছে না, আমরা তখন সাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কারণ, তাঁর কাছে অলিম্পিকের পদক ছাড়া আর কিছুই ছিল না। সাইয়ের তরফ থেকে তাঁর পরিবারকে জানানো হয়, তারা ওই মূল্যবান সম্পদের ব্যাপারে জানে না।”

পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একটি দল দিল্লিতে সাই অফিসে এবং পাতিয়ালার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টসে অনেক আরটিআই দাখিল করেছে। কিন্তু তাতেও সুরাহা হয়নি। অবশেষে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টস দ্বারা পাতিয়ালার সিভিল লাইন থানায় তিন বছর আগে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তবে তাতেও মামলার কোনও অগ্রগতি হয়নি।

বলবীরের নাতি কবির বলেন, “২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আমরা পাতিয়ালা পুলিশ রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি গুরপ্রীত সিং তোরের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। যে পঞ্জাব পুলিশের একটি বিশেষ তদন্ত দল যেন গঠন করা হয়। যাতে মামলাটি স্থানান্তরিত করা যায়।” কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। এখনও এই তদন্তে কোনও ভালো ফল উঠে আসেনি। তবে এই লড়াই জারি রাখবেন বলেই দাবী করেছেন বলবীরের কন্যা সুশবীর কৌর। তিনি বলেন, “আমি যতদিন বেঁচে থাকবো লড়বো। তার পর আমার ছেলে লড়বে।”