সুশীলের জন্য ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে কুস্তির, মানছে সর্বভারতীয় সংস্থা

বেজিং ও লন্ডন অলিম্পিকে পর পর পদক জিতেছিলেন রেসলার সুশীল। ভারতীয় অলিম্পিকের ইতিহাসে যা ছিল বিরল ঘটনা। কিন্তু নিজেই নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন সুশীল। তাঁকে নিয়ে রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সহসচিব বিনোদ টোমার বলেছেন, এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, সুশীলের এই ঘটনা ভারতীয় কুস্তির ভাবমূর্তিতে প্রবল একটা ধাক্কা

সুশীলের জন্য ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে কুস্তির, মানছে সর্বভারতীয় সংস্থা
সৌজন্যে-টুইটার
Follow Us:
| Updated on: May 11, 2021 | 4:45 PM

নয়াদিল্লি: সুশীল কুমার কোথায়? দিল্লি পুলিশ তো বটেই, সারা কুস্তিমহলেরও প্রশ্ন এটাই। ছত্রশাল স্টেডিয়ামের বাইরে ঝামেলার জেরে মারা গিয়েছেন তরুণ কুস্তিগির সাগর ধনকড়। যে ঝামেলায় অলিম্পিক পদকজয়ী সুশীল জড়িত, এমনই তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে। কিন্তু তিনি এখনও পুলিশের কাছে ধরা দেননি। বরং পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই সুশীলকে ধরার জন্য ‘লুকআউট’ নোটিশ জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। সুশীলের এই কাণ্ড যে ভারতীয় কুস্তির ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, মানছে সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থা।

বেজিং ও লন্ডন অলিম্পিকে পর পর পদক জিতেছিলেন রেসলার সুশীল। ভারতীয় অলিম্পিকের ইতিহাসে যা ছিল বিরল ঘটনা। কিন্তু নিজেই নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন সুশীল। তাঁকে নিয়ে রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সহসচিব বিনোদ টোমার বলেছেন, ‘এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, সুশীলের এই ঘটনা ভারতীয় কুস্তির ভাবমূর্তিতে প্রবল একটা ধাক্কা। কিন্তু এ নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। ম্যাটের বাইরে একজন কুস্তিগির কী করছে, সেটা নজরে রাখা সম্ভব নয়।’

দিল্লি পুলিশের সূত্র বলছে, হরিয়ানা ও পঞ্জাবে ঘনঘন ঠিকানা বদলাচ্ছেন সুশীল। যে কারণে তাঁকে ধরতে পারছে না পুলিশ। টোমারের মন্তব্য, ‘শুধু এই ঘটনা নয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে যা ঘটেছিল, তাতেও ভারতীয় কুস্তির মুখ পুড়েছিল। এটা ভুলে গেলে চলবে না, ভারতীয় কুস্তি অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে। কিন্তু আজ এই কুস্তিই লজ্জার মুখে পড়েছে একঝাঁক গুণ্ডার জন্য।’

আরও পড়ুন:বিরাটভাইয়ের জন্যই ক্রিকেট খেলতে পারছি, বলছেন সিরাজ

ছত্রশাল স্টেডিয়ামে সুশীলের রাজত্ব চলছে, এমনই অভিযোগ করছেন অনেকে। এর আগে ওই স্টেডিয়ামের দায়িত্বে ছিলেন সুশীলের শ্বশুর সত্‍পাল সিং। কিন্তু তিনি অবসরের পর দায়িত্বে সুশীল। পারিবারিক দখল বজায় রাখার জন্যই এটা করে হয়েছে, বলছেন অনেকেই। একটি সূত্র যেমন বলছে, ‘ছত্রশাল স্টেডিয়ামে সুশীলের কথা মতো সব হয়। ও যা বলে, যা সিদ্ধান্ত নেয়, তা মেনে চলতে হয়। কেউ যদি সেটা না মানে, তা হলে তাকে নানা ভাবে সমস্যায় ফেলা হয়। সুশীলের মুখের উপর কিছু বলতে ভয় পায় লোকজন। আসলে যারা খেলতে আসে, তারা তো কেরিয়ার তৈরির জন্যই আসে, রাজনীতি করার জন্য নয়। যে কারণে চুপ করে থাকাই তাদের কাছে সহজ পথ।’ সব মিলিয়ে যে সুশীল এক সময় নায়ক হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় খেলাধুলোর, সেই সুশীলই এখন হয়ে গিয়েছেন ‘ভিলেন’!