Nadal Injury: চোটে কাহিল, সংশয়ে নাদালের উইম্বলডন সেমিফাইনালে খেলা!
Wimbledon: পাঁচ সেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ে শেষ চারে পৌঁছেছেন। তবে সঙ্গী হয়েছে চোট। টেলর ফ্রিৎজের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা পেরলেও চোটের কারণে নাদালের সেমিফাইনাল খেলা সংশয়ে। উৎকণ্ঠায় নাদাল অনুরাগীরা।
লন্ডন: তলপেটের সমস্যার সঙ্গে পায়ের চোট। উইম্বলডনের সেমিফাইনালে আদৌ খেলতে পারবেন কি না নিশ্চিত নন রাফায়েল নাদাল (Rafael Nadal)। বুধবার কোয়ার্টার ফাইনালে হারান টেলর ফ্রিৎজকে। মাঝে মেডিকেল ব্রেক নেন। শুক্রবার সেমিফাইনালে নাদালের প্রতিপক্ষ নিক কির্গিওস। খেলতে পারবেন কি না, জানেন না চোটে কাহিল স্প্যানিশ তারকা। ৪ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের ম্যাচ। একে তলপেটের পেশী ছিঁড়ে বেহাল অবস্থা। তার উপর বেগ দিচ্ছে পায়ের চোট। মাথা নীচু করে দাঁড়ি রইলেন কয়েক মুহূর্ত। হয়তো ভাবছিলেন, কোর্ট ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন কি না। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলেও হাল ছাড়লেন না। তারপর গা ঝাড়া দিয়ে উঠে টেলর ফ্রিৎজের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে (Wimbledon Semifinal)। চার ঘণ্টা ২০ মিনিটের লড়াই শেষে কোর্ট ছাড়ার আগে যা বলে গেলেন তাতে নাদাল অনুরাগীদের মুখের হাসি মিলিয়ে গেল এক লহমায়।
২২ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী তারকা। তবে ঝুলিতে উইম্বলডন খেতাব মাত্র দু’বার। ২০০৮ ও ২০১০ সালে। শেষবার অল ইংল্যান্ড টেনিস ক্লাবের ঘাসের কোর্টে জিতেছিলেন এক যুগ আগে। সংখ্যাটা তৃতীয় করতে হলে এটাই সেরা সময়। ভালোমতো জানেন রাফা। বছরের প্রথম দুটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন। বাকি দুটি গ্র্যান্ড স্লাম জয় মানে, ক্যালেন্ডার স্লামের নজির গড়ে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি রড লেভারের পাশে বসা। ১৯৬৯ সালে লেভারের পর এই কৃতিত্ব আর কারও রেকর্ডে নেই। দারুণ ছন্দে থাকলেও ফরাসি ওপেনে পায়ের চোটের কথা উল্লেখ করেছিলেন নাদাল। সেই চোট ভোগাচ্ছে উইম্বলডনেও। বুধবার সেন্টার কোর্টে আহত নাদাল সেমিফাইনালে ওঠার পর বলে দিলেন, শুক্রবারের সেমিতে তিনি খেলবেন কি না নিশ্চয়তা নেই।
সেমিফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ অবাছাই এবং দুরন্ত ছন্দে থাকা নিক কির্গিওস। ৩৬ বছরের টেনিস কিংবদন্তির কথায়, “খেলতে পারব কি না তা সত্যিই জানি না। আমি এখনই স্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারছি না। কারণ আজ একরকম বলব। আগামীকাল দেখব অন্য কিছু ঘটছে। সেক্ষেত্রে আমি মিথ্যেবাদী প্রমাণিত হয়ে যাব।” কোর্টে হাল না ছাড়া মনোভাবের জন্য অনুরাগীদের কাছে পরিচিত রাফা। বুধবারের ম্যাচ সম্পর্কে বলেন, “নিজেকে একটা সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম। যে কোনও টুর্নামেন্ট মাঝপথে ফেলে যাওয়াটা সোজা নয়। উইলম্বডন তো নয়ই। তাতে যতই যন্ত্রণায় কাতর হই। ম্যাচটা শেষ করতে চেয়েছিলাম। তাই লড়ে গেলাম। প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে পড়েও সবটা সামলানো এবং লড়াকু মনোভাবের জন্য নিজেকে উপর গর্ব অনুভূত হচ্ছে।”
আজ নাদালের চোটের কয়েকবার স্ক্যান হবে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন তিনি। চোটের অবস্থা বিচার করে সেমিফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামবেন কি না, সিদ্ধান্ত নেবেন।