Khelo India: খেলো ইন্ডিয়ায় দারুণ সাফল্য, প্যারিস অলিম্পিকের স্বপ্ন

টোকিও অলিম্পিকে নীরজ চোপরার সোনা জয়, এই উদ্যোগে আশার আলো দেখিয়েছে।

Khelo India: খেলো ইন্ডিয়ায় দারুণ সাফল্য, প্যারিস অলিম্পিকের স্বপ্ন
Image Credit source: TWITTER
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2022 | 5:34 PM

রঞ্জিত ভূষণ

বিশ্ব ক্রীড়া মঞ্চে ভারত কি বিরাট লাফ দিতে চলেছে? গত ১২ জুন জম্মু-কাশ্মীরের এক দর্জির ছেলে আদিল আলতাফ, ইতিহাস গড়েছেন। খেলো ইন্ডিয়া (Khelo India) যুব গেমসে সাইক্লিংয়ে প্রথম সোনা জিতেছে আলতাফ। ১৯৫৮ সালে চিনে মাও জেদঙ যে আর্থসামাজিক পরিবর্তন এনেছিলেন, ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রেও তেমনই ইঙ্গিত। ভারতীয় ক্রিকেট যে উন্নতি করে দেখিয়েছে, অন্যান্য ক্রীড়ার ক্ষেত্রেও প্রয়োজন। টোকিও অলিম্পিকে (Olympics) ভারত নিজেদের অতীত পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে সাতটি পদক। এর মধ্যে সোনার পদক মাত্র একটি। মনে করিয়ে দেওয়া, ভারতের জনসংখ্যা ১.৩ বিলিয়ন! তারপরও বিশ্ব মঞ্চে পারফরম্যান্স এমন কেন! বড় মঞ্চে বিরাট কিছু করার জন্য, স্বপ্নটাও বড় দেখতে হবে। ভারত কেন ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে (Paris Olympics) ৫০টি পদক জয়ের স্বপ্ন দেখবে না! তার জন্য বড় কিছু প্রয়োজন। প্রতিটি রাজ্যে পরিকাঠামোয় উন্নতি প্রয়োজন।

ভারত এখন নতুন প্রতিভার খোঁজে। খেলো ইন্ডিয়ার আয়োজন সেই উদ্দেশেই করা। কেন্দ্রীয় সরকারের (MYAS) তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খেলো ইন্ডিয়ার মাধ্যমে দেশের প্রতিটি অংশ থেকে নতুন প্রতিভা তুলে আনাই লক্ষ্য। ২০১৮’র জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমসের উদ্বোধন করেছিলেন। লক্ষ্য ছিল, অলিম্পিকে ভারত যেন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে অংশ নিতে পারে। ভারতে প্রতিভার অভাব নেই। তাদের খুঁজে বের করা, পরিচর্যা করা, সর্বোচ্চ স্তরে অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। খেলো ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে কতটা পরিবর্তন এসেছে, ‘এর আগে খেলার উন্নতিতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কোনও সন্দেহ নেই, খেলো ইন্ডিয়া তার মধ্যে সেরা। একটা সময় খেলোয়াড় দিল্লি থেকে রোহতক যাওয়ার সুযোগ পেতেন না, এখন আমেরিকায় অনুশীলন করছেন,’এমনটাই বলছেন বিখ্যাত ক্রীড়া লেখক নরিস প্রীতম।

এরই কিছুটা সুফল দেখা গিয়েছে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে। ভারতীয় শুটিংয়ের দুই প্রতিভা সৌরভ চৌধুরি এবং মানু ভাকের খেলো ইন্ডিয়া গেমস থেকেই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন। খেলো ইন্ডিয়ার উদ্বোধনী সংস্করণে দুজনই সোনা জিতেছিলেন। টোকিও পদক জিততে না পারলেও পারফরম্যান্সে ধারাবাহিক উন্নতি দেখা গিয়েছে। ভবিষ্যতে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। খেলো ইন্ডিয়ার সাফল্যের আরও একটা উদাহরণ শ্রীহরি নটরাজ। ২০১৮ খেলো ইন্ডিয়া গেমসে পদক জিতেছিলেন। রোমের সেটে কলি ট্রফিতে পুরুষদের ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে এ স্ট্যান্ডার্ড যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। যারা অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন, তাদের বাদ দিয়েও প্রচুর বিকল্প তৈরি রয়েছে, ২০২৪ প্যারিস এবং ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ডানা মেলার অপেক্ষায় তারা। এই তালিকায় রাখা যায় ভারোত্তলক জেরেমি লালরিনুঙ্গাকে। যুব অলিম্পিকে প্রথম ভারতীয় হিসেবে সোনা জিতেছেন জেরেমি। তালিকায় আরও অনেক নাম রয়েছে। ব্যাডমিন্টনে লক্ষ্য সেন, শুটিংয়ে মেহুলি ঘোষ, তিরন্দাজিতে কমলিকা বারি, অ্যাথলেটিক্সে নিসার আহমেদ, ব্যাডমিন্টনে তাসনিম মীরদের প্রতিভার উপর ভরসা করা যায়। এই অ্যাথলিটদের আর্থিক সহযোগিতা এবং অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮-১৯ মরসুমে খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পে ৩৪২.২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ২০১৯ যা বাড়িয়ে ৫০০ কোটি করা হয় এবং ২০২০ সালে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৯০.৪২ কোটি। প্রতিভাবান অ্যাথলিটদের ৮ বছরের জন্য বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। টোকিও অলিম্পিকে নীরজ চোপরার সোনা জয়, এই উদ্যোগে আশার আলো দেখিয়েছে। ইংরেজিতে প্রতিবেদনটি পড়ুন