Tokyo Olympics 2020: কোচ নেই, সতীর্থদের মানসিক চাপ, তবু ডিসকাসের ফাইনালে কমলপ্রীত
Kamalpreet Kaur: নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে টোকিও অলিম্পিকে ডিসকাসের ফাইনালে উঠেছেন। ব্যক্তিগত কোচ রাখীকে চাইলেও নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। যা মানসিকভাবে অত্যন্ত চাপে রেখেছিল তাঁকে।
টোকিও: অলিম্পিকের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে কখনও পদক না পাওয়া ভারত কি এ বার সাফল্যের মুখ দেখবে? কমলপ্রীত কৌর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। ডিসকাস থ্রোতে (Discus Throw) ২৫ বছরের মেয়ের দুরন্ত পারফরম্যান্স নিয়ে কিন্তু আলোচনা চলছে।
কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ৬৪ মিটার ছুড়ে দ্বিতীয় হয়ে জায়গা পেয়েছেন ফাইনালে। পদকের লড়াই কঠিন, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু নিজেকে যদি ধারাবাহিক রাখতে পারেন কমলপ্রীত, তা হলে ছবি পাল্টে যাবে। কমলপ্রীতকে ছেলেবেলা থেকে কোচিং করাচ্ছেন রাখী ত্যাগী (Rakhi Tyagi)। তিনি বলেছেন, ‘টোকিও থেকে ফোনে ও বলছিল, প্রথম থ্রোটার আগে ও কিছুটা নার্ভাস ছিল। তারপর স্বাভাবিক ধারাটা ধরে রাখতে পেরেছে। ফাইনালে ও ৬৭ মিটার ছুড়বে, দেখে নেবেন।’
নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে টোকিও অলিম্পিকে ডিসকাসের ফাইনালে উঠেছেন। ব্যক্তিগত কোচ রাখীকে চাইলেও নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। যা মানসিকভাবে অত্যন্ত চাপে রেখেছিল তাঁকে। শুধু তাই নয়, আর ভারতীয় ডিসকাস থ্রোয়ার সীমা পুনিয়াও চাপে রেখেছিলেন তাঁকে। চলতি বছরের শুরুতে যখন ৬৬.৫৯ মিটার ছুড়ে রেকর্ড করেছিলেন কমলপ্রীত, তখন ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থা যাতে তাঁর হাইপার্যান্ড্রজেনিজ়ম টেস্ট করায়, তা বলেছিলেন সীমা। যা পারফরম্যান্স মান বাড়িয়ে দেয়, তেমন কোনও ড্রাগ নিচ্ছেন কিনা, সন্দেহ প্রকাশ করছিলেন। এমনকি, কেউ কেউ বলছেন, টোকিও অলিম্পিকের সময়ও নাকি টিমের এক সিনিয়র তাঁর উপর চাপ রাখার চেষ্টা করেছিলেন। সীমা অবশ্য ফাইনালে উঠতেই পারেননি। কিন্তু কমলপ্রীত চমকে দিয়েছেন।
এ সবের মধ্যে দিয়েও কমলপ্রীত আটকাননি। চলতি বছরের কথাই যদি ধরা হয়, কমলপ্রীত কিন্তু দারুণ সফল। সেরা পাঁচটা থ্রো শুরু করেছিলেন ৬১.০৪ মিটার ছুড়ে। সেখান থেকে কিন্তু ক্রমশ উন্নতি করেছেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের ৬ নম্বর তিনি। টোকিওতে ৬৪ মিটার ছোড়ার পাশাপাশি ৬৩-৭৯ও ছুড়েছেন। যার অর্থই হল, নিজের সেরাটাই দিচ্ছেন তিনি। ফাইনালেও রেলের কর্মী সেরাটাই দেবেন।
সোমবার কমলপ্রীতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী দু’বারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ক্রোয়েশিয়ার সান্দ্রা পার্কোভিচ। যিনি আবার কোয়ালিফাইং রাউন্ডের পর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কমলপ্রীতকে।
কোচ রাখী বলছেন, ‘ও প্রথম বার অলিম্পিকে নেমে অত্য়ন্ত রোমাঞ্চিত ছিল। ইভেন্টের পর বড় অ্যাথলিটরা ওকে ডেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশ্ব সার্কিটে ওকে এখন অনেকেই চিনতে শুরু করেছে।’
অলিম্পিকের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০