WTC Final: রোহিত-বোল্টের দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষায় বীরেন্দ্র সেওয়াগ

WTC ফাইনালে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগের (Virender Sehwag) আলাদা করে নজর থাকবে অন্য এক লড়াইয়ের দিকে।

WTC Final: রোহিত-বোল্টের দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষায় বীরেন্দ্র সেওয়াগ
WTC Final: রোহিত-বোল্টের দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষায় বীরেন্দ্র সেওয়াগ
Follow Us:
| Updated on: Jun 12, 2021 | 5:24 PM

নয়াদিল্লি: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে (WTC Final) লড়াইটা ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের (India vs New Zealand) হলেও, ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগের (Virender Sehwag) আলাদা করে নজর থাকবে অন্য এক লড়াইয়ের দিকে। সেটা হল রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) বনাম ট্রেন্ট বোল্টের (Trent Boult) দ্বৈরথ। বোল্টকে কীভাবে আক্রমণ করেন হিটম্যান তা দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন বীরু।

এক সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগ বলেছেন, “ভারতীয়দের কাছে ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি জুটি নিঃসন্দেহে বড় সড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে চলেছে। যে কোনও পার্টনারশিপের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে ওরা। বলকেও দুই দিকেই ঘোরাতে পারে বোল্ট ও সাউদি। তবে, আমি বোল্ট বনাম রোহিতের দ্বৈরথ দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। রোহিত যদি সেট হয়ে যায় এবং প্রথম স্পেলেই বোল্ট আসে তা হলে ম্যাচ দেখার মজাটাই বেড়ে যাবে।”

রোহিত শর্মা বর্তমানে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন। এই মুহূর্তে তিনি যে কোনও ম্যাচে ভারতকে জেতানোর মত ক্ষমতা রাখেন। এমনটা মনে করছেন সেওয়াগ। তাঁর কথায়, “রোহিত দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান এবং ২০১৪ সালে ও ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলেছে। তাই আমার মনে হয়, ও ইংল্যান্ডের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে। আমরা এখন ওকে ওপেনিং করতেও দেখছি। আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি, ইংল্যান্ডে ও ভালো রান করবে।”

তবে পাশাপাশি রোহিতকে একটু সতর্ক হয়ে খেলার কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন বীরু। তাঁর কথায়, “একজন ওপেনরাকে অবশ্যই একটু বেশি সতর্ক হয়ে খেলতে হয়। বিশেষ করে প্রথম ১০ ওভারে সেট হয়ে গেলে এবং বল কেমন পাচ্ছে সেটা বুঝে গেলেই খুব একটা চাপে পড়তে হয় না। আমার মনে হয় ও (রোহিত) নিশ্চয়ই ওর দারুণ দারুণ শট দেখাবে।”

আরও পড়ুন: WTC Final: মেন ইন ব্লুর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া সফর, বলছেন ইশান্ত

তবে শুধু রোহিত নয়, ভারতীয় তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থের ঝোড়ো ব্যাটিং দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সেওয়াগ। পন্থের ব্যাপারে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার বা অন্য কেউ কী বলছে সেদিকে নজর না দিয়ে, পন্থের নিজের ব্যাটিংয়ের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া দরকার। ও জানে কীভাবে ব্যাটিংটা করতে হবে। আমার মনে হয় না, ওর খেলার ধরণ বদলানো দরকার। যে বলটায় বড় হিট দেওয়ার মত হবে, সেটাতে ওর দক্ষতা দেখাতেই হবে।”

পন্থ আগের থেকে অনেক পরিণত। তাঁর ব্যাটিং থেকে কিপিং দেখলেই তা নজরে পড়ে। সেওয়াগ তাঁর দায়িত্বর ব্যাপারে বলেন, “ও এখন বুঝতে শিখেছে দলের জন্য ও কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ও ৬ নম্বরে এসে কী ভূমিকা পালন করবে সেটাও এখন পরিস্কার ওর কাছে। একটা সেশনে পুরো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ওর।”

ভারতের আর এক ক্রিকেটার চেতেশ্বর পূজারাকে অনেকেই সমালোচনা করেন তাঁর স্ট্রাইক রেটের জন্য। এ ব্যাপারে সেওয়াগ বলেন, “টেস্ট ক্রিকেটে আমার মনে হয় না স্ট্রাইক রেটটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন ভারতের হয়ে খেলতাম, আমার পরে ব্যাটিং করতে আসত রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ভিভিএস লক্ষণ। ওদের সকলের স্ট্রাইক রেট ৫০ এর কাছাকাছি থাকত। টেস্ট ক্রিকেটে যেটা ঠিকঠাকই। আমার মতে ক্রিজে থেকে একটা ইনিংস গড়াটাই মূল কাজ। পূজারা দলের জন্য যে রান করে সেটা দেখে আমি খুশি হই। তাতে যে স্ট্রাইক রেটেই ও খেলুক না কেন। আমি খেলাটা উপভোগ করি।”

আরও পড়ুন: WTC Final: নিজেদের মধ্যে অনুশীলনে মত্ত বিরাটব্রিগেড