Murali Sreeshankar: ‘পরোটা খাব না’, কেন এমন প্রতিজ্ঞা ভারতীয় অ্যাথলিটের!
টোকিও অলিম্পিকে অবশ্য প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি শ্রীশঙ্কর। তাঁর সেরা লাফ ছিল ৭.৬৯ মিটার।
নয়াদিল্লি : বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে নজির গড়েছেন মুরলী শ্রীশঙ্কর (Murali Sreeshankar)। লং জাম্পে রুপো পেয়েছেন মুরলী। পুরুষদের লং জাম্পে (Long Jump) দেশের প্রথম রুপোর পদক (Silver Medal) এসেছে তাঁর লাফে। এরপর মোনাকো ডায়মন্ড লিগে অভিষেক হয় তাঁর। অভিষেকের স্নায়ুর চাপ হোক বা কমওয়েলথ গেমসের ক্লান্তি, ডায়মন্ড লিগে ভালো ফল করতে পারেননি। তাতে অবশ্য তাঁর সাফল্য এড়িয়ে যাওয়া যায় না। কমনওয়েলথ গেমসের রুপোর পদক একেবারেই সহজ ছিল না। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি, কঠোর পরিশ্রমের ফসল এই পদক। গম্ভীর বিষয়ের মধ্যে একটা মজার জিনিসও রয়েছে। মুরলী শ্রীশঙ্কর একটা প্রতিজ্ঞা করেছেন। পরোটা না খাওয়ার। মজার হলেও এটাই সত্যি। এর কারণ অবশ্য বেশ গম্ভীর।
প্রায় দু বছর হয়ে গেল। প্রতিজ্ঞা রেখে চলেছেন। প্রিয় খাবার পরোটা। সেই প্রিয় খাবারই না খাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। অলিম্পিক পদক না জেতা অবধি পরোটা খাবেন না। এমনকি কমনওয়েলথ গেমসে রুপোর পদকের পরও প্রতিজ্ঞা ভাঙেননি। শ্রীশঙ্করের কথায়, ‘বিষয়টা কী করে বাইরে বেরোলো সেটা আমার জানা নেই। বিষয়টা আমার এখনও মনে আছে। ২০১৯-র ঘটনা। পরোটা খাচ্ছিলাম। আমাদের কাছে পরোটা কত প্রিয় খাবার সেটা প্রতিটি মালয়ালি জানে। পরোটা খাওয়ার সময় বাবা আমাকে বলে-তুমি এসব খাবারই খেতে থাকো, বাকিরা ৮.১৫ মিটারের উপর লাফাবে। তখনই বাবাকে বলি, টোকিও অলিম্পিক অবধি আমি আর পরোটা খাব না। তারপরই বাবা-মাকে বলি, যতদিন না অলিম্পিক পদক জিতব, আমি পরোটা খাব না। কমনওয়েলথ গেমসের পরও খাইনি। অলিম্পিকির জন্যই প্রতিজ্ঞা তোলা রয়েছে।’
টোকিও অলিম্পিকে অবশ্য প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি শ্রীশঙ্কর। তাঁর সেরা লাফ ছিল ৭.৬৯ মিটার। হিটে ২৪তম স্থানে শেষ করেছিলেন শ্রীশঙ্কর। তাঁর জন্য হতাশার অলিম্পিক। শ্রীশঙ্করের বাবা তথা কোচ শিবাশঙ্করণ মুরলীকেও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের তরফে বরখাস্ত করা হয়েছিল। শ্রীশঙ্কর বলছেন, ‘শারীরীক ভাবেই শুধু নয়, মানসিকভাবেও সে সময়টা খুবই কঠিন ছিল। আমার পরিবারের জন্যও। যোগ্যতা অর্জনে ভালো পারফর্ম করায় টোকিওতে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। টোকিওতে ফাইনাল কিংবা পদকের বিষয়ে প্রত্যাশা ছিল না। কোভিডের জন্য পরপর টিকা নিতে হয়েছিল। সে কারণে ফিটনেসে অবনতি হয়। অলিম্পিকের আগে তিন মাস ঠিকঠাক অনুশীলন করতে পারিনি। অলিম্পিকের আগে সবই নেতিবাচক দিকে যাচ্ছিল।