Traffic Rules: হাওয়াই চটি পরে বাইক চালান? পিছনে বসা ব্যক্তির পরনে হাফ প্যান্ট? 2,000 টাকা জরিমানা দিতে হবে

Lesser Known Traffic Rules: সিট বেল্ট না বাঁধা থেকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, জরিমানা হতে পারে এমন অনেক ট্রাফিক নিয়ম আমাদের জানা। কিন্তু এমন অনেক সাধারণ ট্রাফিক আইন আছে, যেগুলি আমাদের অজানা। জেনে নিন সেগুলিই।

Traffic Rules: হাওয়াই চটি পরে বাইক চালান? পিছনে বসা ব্যক্তির পরনে হাফ প্যান্ট? 2,000 টাকা জরিমানা দিতে হবে
অজানা ট্রাফিক নিয়মগুলি না জানলেই নয়!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 5:22 PM

ট্রাফিক (Traffic Rules) এবং রাস্তার নিরাপত্তা (Road Safety) সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে আরও কড়া হচ্ছে ভারত সরকার। তার বাস্তবায়নে 1989 সালের মোটর ভেহিকল আইন এবং যানবাহন উৎপাদন নির্দেশিকাতেও বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। লাল আলো ক্রস করা এবং সিট বেল্ট না পরার মতো সহজ নিয়মগুলি লঙ্ঘন করলে আগের থেকে এখন মোটা অঙ্কের জরিমানা (Fines) করা হচ্ছে। তবে রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় এই সহজ নিয়মগুলি অল্প বিস্তর প্রায় সকলেরই জানা। আজ আমরা জেনে নেব, ট্রাফিক এবং সর্বোপরি দেশের রাস্তায় গাড়ি চালানোর এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে যা অনেকেরই অজানা। আসুন, সেগুলিই একবার দেখে নেওয়া যাক।

হাওয়াই চটি পরে বাইক চালানো

মোটর ভেহিকল আইন অনুযায়ী, ভারতের রাস্তায় গাড়ি বা বাইক চালানোর সময় আপনার পোশাকটাও হতে হবে ঠিকঠাক, যথাযথ। এই নিয়ম অনুসারে, বাইক চালকদের জুতো বা পা ঢেকে রাখছে এমন কোনও চপ্পল পরে বাইক চালাতে হবে। এর অন্যথা হলে 1,000 টাকা জরিমানা করা হবে। অর্থাৎ আপনি যদি হাওয়াই চটি পরে বাইক চালান, তাহলে ফাইন দেওয়ার জন্য আপনাকে পকেটে আলাদা করে 1,000 টাকা সরিয়ে রাখতে হবে। একই রকম ভাবে সেই বাইকের পিছনে বসে থাকা ব্যক্তিকে অবশ্যই পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ট্রাউজ়ার-সহ একটি শার্ট বা টি-শার্ট পরে থাকতে হবে। তা না হলে 2,000 টাকা জরিমানা দিতে হবে।

দুটি ড্রাইভিং লাইসেন্স

যদি একজন ব্যক্তির কাছ থেকে দুটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে জরিমানা দিতে বাধ্য করা হবে। অনেক সময় দেখা যায় দুটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের মধ্যে একটি নতুন এবং আর একটি পুরনো। এখন আপনার কাছ থেকে যদি দুটি ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার হয়, তাহলে অপরাধ হিসেবে চালান কাটা হবে।

ফোনের ব্যবহার

আমরা প্রায় সকলেই জানি যে, ড্রাইভ করার সময় ফোনে কথা বললে চালান কাটা হতে পারে। তবে তার একটি ব্যতিক্রমও রয়েছে। যে কোনও রাইডার/ড্রাইভারকে শুধুমাত্র ন্যাভিগেশনের উদ্দেশ্যে তাদের গাড়ি চালানোর সময় তাদের ফোন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়। অন্য কোনও কারণবশত ব্যবহার করলে আপনাকে অতি অবশ্যই জরিমানা করা হবে। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে আপনার 5,000 টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

জরুরি যানবাহনকে অনুমতি না দেওয়া

জরুরি পরিষেবার জন্য ব্যবহৃত যে যানবাহনকে রাস্তা ছেড়ে দেওয়া প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু এখন কেউ যদি এই ধরনের কোনও যানবাহনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বা হস্তক্ষেপ করে, তবে তার বা তাদের 6 মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং 10,000 টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ইমার্জেন্সি বা জরুরি যানবাহনের তালিকায় রয়েছে, ফায়ার ব্রিগেড, অ্যাম্বুল্যান্স, পুলিশের গাড়ি-সহ আরও অনেক ভেহিকল।

গাড়ি চালানোর অযোগ্য

এই বিষয়ে সকলেই প্রায় অবগত যে, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো বেআইনি। এখন এই নিয়মই যে কোনও ব্যক্তিকে গাড়ি চালানো থেকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে পারে, যদি তিনি মানসিক বা শারীরিক ভাবে গাড়ি চালানোর অযোগ্য হন। এমনটা যদি কাউকে করতে দেখা যায়, তাহলে প্রথম বার 1,000 টাকা এবং দ্বিতীয় বারে 2,000 টাকা জরিমানা করা হবে একজন চালককে।