Jeevan Pramaan Patra: হাতে মাত্র 2 দিন, অ্যাপে ‘মুখ দেখিয়ে’ই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার পদ্ধতি শিখে নিন

Jeevan Pramaan Face App: প্রবীণ ও অতি-প্রবীণদের জন্য ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে ফেস অথেন্টিকেশন শুরু করা হয়েছে। অর্থাৎ মুখের ছবির মাধ্যমে যাচাই করে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যাবে। কীভাবে কাজটি করবেন, জেনে নিন।

Jeevan Pramaan Patra: হাতে মাত্র 2 দিন, অ্যাপে 'মুখ দেখিয়ে'ই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার পদ্ধতি শিখে নিন
মুখ দেখিয়ে কীভাবে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেবেন? অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2022 | 2:14 PM

Digital Life Certificate: ‘জীবন প্রমাণ’ ওয়েব পোর্টাল বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকে পেনশনভোগীরা এখন ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট পেতে পারেন। তবে তার আগেও যে প্রশ্নটা আসবে, তা হল ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট কী? এটি আসলে একটি ডিজিটাল শংসাপত্র, যেখানে পেনশনভোগীদের (Pension Holders) আধার কার্ড অনুযায়ী বায়োমেট্রিক ও শারীরিক বিষয় সংক্রান্ত নানাবিধ তথ্য থাকে। ভারত সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে পেনশনভোগীদের এই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। সহজ বাংলায় এটি পেনশনারদের বেঁচে থাকার প্রমাণ, যার ভিত্তিতে প্রবীণ মানুষজন (Senior Citizens) পেনশনের সুবিধা পেয়ে যান।

প্রতি বছর নভেম্বর মাসে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই শংসাপত্র জমা দিতে হয় পেনশনারদের। এখন এই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার শেষ দিন দোরগোড়ায়। কারও বয়স যদি 80-র বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে অক্টোবরেও জমা দেওয়া যায়। 30 নভেম্বর পর্যন্ত পেনশন তোলার এই বৈধ শংসাপত্র জমা দেওয়া যাবে। অর্থাৎ হাতে রয়েছে আর মাত্র 2 দিন। তা-ই, যত দ্রুত সম্ভব কাজটি সেরে ফেলতে হবে। তার আগে সমস্ত প্রক্রিয়াও ভাল ভাবে জেনে নিতে হবে। তবে এই 30 নভেম্বরের ডেডলাইন সমস্ত পেনশনারদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। এই সময়সীমা তাঁদের জন্য কার্যকর নয়, যাঁরা 1995 সালের এমপ্লয়ি পেনশন স্কিমে এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গ্যানাইজ়েশন থেকে পেনশন পাচ্ছেন।

ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু আজকের এই ডিজিটাল জমানায় মোবাইল অ্যাপ বা পোর্টাল থেকে এক ঝটকায় কোনও কিছু ডাউনলোড করে নেওয়ার থেকে সহজ পদ্ধতি আর কী-ই বা থাকতে পারে? বায়োমেট্রিক ভিত্তিক পোর্টালের মাধ্যমে এতদিন ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হত পেনশনভোগীদের। কিন্তু তাতে ঝক্কিও কম নয়। বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনে অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে, প্রবীণ মানুষজনের আঙুলের ছাপ মিলছে না।

তাই, প্রবীণ ও অতি-প্রবীণদের জন্য ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে ফেস অথেন্টিকেশন শুরু করা হয়েছে। অর্থাৎ মুখের ছবির মাধ্যমে যাচাই করে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যাবে। তার প্রচারেও যথেষ্ট জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় পেনশনার অ্যান্ড পেনশনার্স ওয়েলফেয়ার বিভাগ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োদন করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, গত বুধবার, 23 নভেম্বর, শ্রীরামপুরে প্রথম শিবিরটি আয়োজিত হয়। সেখানে বহু পেনশনার ফেস অথেন্টিকেশন পদ্ধতিটি শিখে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেন।

ফেস অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে কীভাবে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেবেন

* প্রথমেই আপনাকে যেতে হবে গুগল প্লে স্টোরে।

* সেখানে গিয়ে আপনাকে আধার ফেস আরডি অ্যাপ (Face RD App) ডাউনলোড করতে হবে।

* জীবন প্রমাণ ফেস অ্যাপের ডাউনলোড লিঙ্ক পেয়ে যাবেন সেখানে।

* ওই লিঙ্কে ক্লিক করে https ://jeevanpramaan.gov.in-এ যেতে হবে।

* ইমেল আইডি দিয়ে দিন।

* সেখানে ওটিপি চলে আসবে। যথাস্থানে তা দিয়ে দিন এবং অ্যাপটি নামিয়ে নিন।

* ওয়ান টাইম অপারেটর অথেন্টিকেশনের জন্য আধার, ই-মেল আইডি, ফোন নম্বর দিয়ে দিতে হবে।

* এবার আধার নম্বর দিয়ে মুখের ছবি স্ক্যান করুন।

* পেনশন প্রাপকের পরিচয় যাচাইকরণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।

* আপনার একটি প্রমাণ আইডি এবং ডিজিটাল সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে যাবে।

* সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আসা লিঙ্কে ক্লিক করুন।

* 10 সংখ্যার প্রমাণ আইডি এবং ক্যাপচা কোড দিয়ে দিন।

* সবশেষে পেনশন প্রাপকের ছবি, তারিখ সহযোগে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য সম্বলিত লাইফ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার কাজটি হয়ে যাবে।

কী-কী লাগবে

* প্রথমেই দরকার একটা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন।

* সেই ফোনে অন্তত 4GB RAM এবং 64GB স্টোরেজ থাকতে হবে।

* 500MB স্টোরেজ খালি থাকা অত্যন্ত জরুরি।

* ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজন।

* ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস বা অন্য আর যে সব প্রতিষ্ঠানে প্রবীণদের পেনশন অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার সঙ্গে আধার নম্বর নথিভুক্তকরণ করতে হবে।

যে দিকগুলিতে রাখতে হবে বিশেষ নজর

* একজন পেনশন প্রাপক কেবল নিজের লাইফ সার্টিফিকেট-ই ডাউনলোড করতে পারবেন।

* আধার এবং পিপিও-তেও ওই একই নম্বর নথিভুক্ত থাকতে হবে।

* ছবি তোলার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আশপাশে যেন পর্যাপ্ত আলো থাকে।

* এ ছাড়াও ছবি তোলার সময় দুই থেকে তিনবার যেন চোখের পলক পড়ে, সেই দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে।