বাড়িতে বসে শেফের হাতের রান্না এবার এক ক্লিকে, সৌজন্যে ফুজা অ্যাপ

অ্যাপের বৈশিষ্ট্যর বিষয়ে আরও বিশদে বুঝিয়ে দিলেন দিব্যেন্দু। বললেন, “একে একে বলি, ইনসুলিটেড ব্যাগে খাবার ডেলিভারি হয়, যা খাবার এক ঘন্টা অবধি খাবার গরম রাখে। বাকি সব অ্যাপের এক সীমানা আছে বা রেডিয়াস, এর বাইরে তারা খাবার ডেলিভারি করে না

বাড়িতে বসে শেফের হাতের রান্না এবার এক ক্লিকে, সৌজন্যে ফুজা অ্যাপ
ফুজা অ্যাপ।
Follow Us:
| Updated on: Feb 21, 2021 | 12:32 PM

গত প্রায় এক বছরে মানুষ খুইয়েছে অনেক কিছু। কোভিড কেড়েছে কাছের মানুষের প্রাণ তো কেড়েছে কারও চাকরি। প্যান্ডেমিকের বিরাট ধাক্কার পর এখনও বহু মানুষ তাঁদের জীবন সামলে উঠতে পারেননি।

এমন এক পরিস্থিতির মাঝে বাজারে এল এক নতুন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ—‘ফুজা’। না শুধু ফুড ডেলিভারির অ্যাপ ফুজা নয়। খাবারদাবার বাড়ির দোরগোড়ায় ডেলিভার করে তা যেমন ঠিক, তেমনই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে ‘ফুজা’।

আরও পড়ুন লকডাউন না হলে বিয়ে করে ফেলতাম: বিক্রান্ত মাসি

‘ফুজা ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “প্রায় ৮০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ডেলিভারি বয় থেকে অফিশিয়াল স্টাফ কিংবা শেফ—যাঁরা প্যান্ডেমিকের শিকার, তাঁরা আমাদের সঙ্গে এখন যুক্ত। ভবিষ্যতে আশা করছি আরও মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারব।”

প্যান্ডেমিক পরিস্থিতির জেরে শহরের যে সব শেফ তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের একাংশেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে ‘ফুজা’। দিব্যেন্দুর কথায়, “২৮ জন শেফ যোগ দিয়েছেন ফুজা-র সঙ্গে। তাঁরা সবাই নামিদামি হোটেল-রেস্তোরাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা পরিবার সূত্রে শেফ-এর পেশায় এসেছেন। হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ে চাকরি না-পাওয়া বেশ কিছুজনও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন”

বড়-বড় হোটেল-রেস্তোরাঁর শেফ মানেই তো দেশ-বিদেশের ক্যুইজিন… বিভিন্ন রকম পদের সমাহার। তাই তো? দিব্যেন্দু বললেন, “শেফরা কেউ-কেউ ক্র্যুজে কাজ করতেন। রয়্যাল ক্যারিবিয়ানের মতো ক্র্যুজে কাজ করতেন, এমন শেফও আছেন। ইটালিয়ান, কনটিনেন্টাল, মেক্সিকান ফুড-ও রয়েছে। শেফরা কিন্তু বাজার থেকে পাস্তা কেনেন না। নিজের হাতে তা তৈরি করেন। রিগাতনি নামে এক পাস্তা পাওয়া যায় যা কিন্তু কলকাতার বাজারে পাওয়া যায় না। আমাদের অ্যাপে রিগাতনি পাস্তাও পাবেন।”

বাঙালি মানে খাওয়াদাওয়াকোনও ‘না’ নেই। সে কারণেই কি কলকাতা থেকে জার্নি শুরু হল ফুজার? দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “কলকাতা শহরের খাবার নিয়ে এক আলাদা সংস্কৃতি আছে। এবং এ কারণে শহরের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। তবে, আমরা প্রতি তিন মাস অন্তর এক নতুন শহরে ‘ফুজা’ অ্যাপটিকে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছি। অনলাইন ফুড ডেলিভারির ক্ষেত্রে এই অ্যাপের বেশ কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে এবং তা থাকবে।”

ইন্টারফেস।

অ্যাপের বৈশিষ্ট্যর বিষয়ে আরও বিশদে বুঝিয়ে দিলেন দিব্যেন্দু। বললেন, “একে একে বলি, ইনসুলিটেড ব্যাগে খাবার ডেলিভারি হয়, যা খাবার এক ঘন্টা অবধি খাবার গরম রাখে। বাকি সব অ্যাপের এক সীমানা আছে বা রেডিয়াস, এর বাইরে তারা খাবার ডেলিভারি করে না, কিন্তু আমাদের অ্যাপে বিবেকানন্দ পার্কে বসে গোলবাড়ির কষা মাংস অর্ডার করতে পারবেন। তবে সেটা করতে একটু সময় লাগবে। তৃতীয়, আপনি আমাদের অ্যাপের মাধ্যমে অনেক খাবার অর্ডার করতে পারেন। বাল্ক অর্ডার। ৩০-৪০ জনের খাবারের অর্ডারও আমরা নিই।”

অ্যান্ড্রয়েড কিংবা আইওএস দুই ভার্সান থেকেই ডাউনলোড করতে পারেন ফুজা অ্যাপ।