ChatGPT-র প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ নিয়ে কাজ করছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিকম সংস্থা Reliance Jio। সংস্থার চেয়ারম্যান আকাশ আম্বানি জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বম্বের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রোগ্রামটি তৈরি করা হচ্ছে, যার নাম ‘ভারত জিপিটি’ (Bharat GPT)। সম্প্রতি IIT বম্বের বার্ষিক টেকফেস্টের সময়ই আকাশ আম্বানি ‘ভারত জিপিটি’র বিষয়টি জানান।
ওই ইভেন্টে আকাশ একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার উপরে জোর দেন এবং ‘Jio 2.0’ এর বাস্তবায়নে কোম্পানির চিন্তাভাবনার কথাও তুলে ধরেন। তিনি জানিয়েছেন, 2014 সাল থেকে আইআইটি বম্বে ভারত জিপিটি নিয়ে কাজ করছে। এখন রিলায়েন্স জিও এই কাজে IIT বম্বেকে সাহায্য করছে মূলত জেনারেটিভ AI ব্যবহারের লক্ষ্যে। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ChatGPT-র মতো লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই ভারত জিপিটি নিয়ে কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছেন আকাশ ও তাঁর সংস্থা।
ভারত জিপিটির পাশাপাশি আকাশ আম্বানি Jio-র টেলিভিশন টেকনোলজি সম্পর্কেও একাধিক তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, টেলিভিশনের জন্যও নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে কাজ করছে Jio। সেই TV OS লঞ্চ করার মধ্যে দিয়ে টেলিকম সেক্টরের বাইরেও মিডিয়া, কমিউনিকেশন, কমার্স এবং ডিভাইস- সর্বস্তরেই নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে চাইছে মুম্বইয়ের টেলিকম জায়ান্টটি।
এদিকে আকাশ আম্বানি তাঁর সংস্থার 5G প্রাইভেট নেটওয়ার্ক লঞ্চ করার বিষয়েও বেশ কিছু তথ্য জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, সমস্ত স্তরের এন্টারপ্রাইজ়ের জন্য 5G স্ট্যাক অফার করার কথা ভাবছে জিও। পরের দশকের জন্য ভারতকে ‘সবচেয়ে বড় উদ্ভাবন কেন্দ্র’ হিসেবে দাবি করে আম্বানি বলছেন, এই দশকের শেষ নাগাদ দেশ 6 ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে যাবে।
দৈনন্দিন জীবনে এআই-এর ব্যাপক ব্যবহারকে তুলে ধরে আম্বানি বলছেন, Jio-র কাছে AI শুধুমাত্রই অ্যাপ ব্যবহার করে ম্যাট্রেসের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা নয়, তার থেকেও অনেক বেশি কিছু। পাশাপাশি তরুণ উদ্যোগপতিদের তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যর্থতাকে ভয় না পেয়ে বরং সেই ভয়কে জয় করতে হবে। পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আকাশ আম্বানি Jioকে বিশ্বের বৃহত্তকম স্টার্টআপ হিসেবে স্থান দিয়েছেন।