Tech Tips And Tricks: বিয়ের পরের দিনই গিজ়ারের কারণে নববধূর মৃত্যু হল। ইউপির মিরাটে এই বেদনাদায়ক ঘটনাটি ঘটেছে। বিয়ের দ্বিতীয় দিনে কনে স্নান করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গ্যাসের গিজ়ার লাগানো ছিল। গ্যাসের গিজ়ারে ফুটো হয়ে শ্বাসরোধে মৃত্যু হয় নববধূর। বর্তমানে গ্যাস গিজ়ারের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। আর গ্যাস গিজ়ারগুলি জল গরম করার জন্য এলপিজি ব্যবহার করে। গিজ়ারে কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়। আর সেই গ্যাসের ট্য়াঙ্ক লিক করলে তা থেকে কার্বন মনোক্সাইড নির্গত হয়। যা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ শ্বাস নেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে এটি একজন ব্যক্তিকে অচেতন করে তুলতে পারে। আপনার বাড়িতেও যদি গিজার লাগানো থাকে, তাহলে কিছু বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। আপনার সামান্য ভুল জীবনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। চিকিত্সকরা এই ক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিত্সার পরামর্শ দেন। কারণ কার্বন মনোক্সাইডে অসুস্থ হয়ে পরলে ঘরোয়াভাবে চিকিত্সা করা যায় না। কিন্তু যাতে গ্যাসের ট্য়াঙ্ক লিক না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, গ্যাস গিজারের সংস্পর্শে স্থায়ীভাবে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। পাঁচ মিনিটের বেশি সময় ধরে গ্যাসের সংস্পর্শে থাকলে মাথা ঘুরতে পারে। অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন এবং শ্বাসরোধে মারাও যেতে পারেন। কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস যদি কোনওভাবে ফুসফুসে চলে যায়, সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সকদের সাহায্য নিতে হবে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্যাস গিজ়ার ব্যবহার করলে কমপক্ষে শৌচাগারে একটি জানালা থাকতে হবে যাতে ভালভাবে বায়ুচলাচল করতে পারে।
আপনার গ্যাস গিজ়ারের যত্ন কীভাবে নেবেন?
কোনও ফুটো আছে কি-না তা ধরার জন্য সময়ে সময়ে গিজার পরীক্ষা করুন। এক্সস্ট ফ্যান ইনস্টল করুন এবং গিজার কাজ করার সময় এটি চালু করুন।
খেয়াল রাখুন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গিজ়ারের জল গরম হচ্ছে কি-না। না হলে বুঝবেন গিজ়ারের গ্যাস ট্য়াঙ্কে কোনও সমস্যা হয়েছে।
গ্যাসের ট্য়াঙ্ক ফুটো হলে ব্যবহার করবেন না। বাথরুমে অন্তত একটি জানালা রাখুন। আপনি যদি এক সেকেন্ডের জন্যও দম বন্ধ বোধ করেন বা কাশি শুরু হয়। তাহলে বাইরে বারিয়ে আসুন।
অতীতেও এমন অনেক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে গ্যাস গিজার ব্যবহারের কারণে খিঁচুনি ও শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে। চিকিত্সকরদের মতে, গ্যাস গিজারের কারণেও বমি, খিঁচুনি, বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা হতে পারে। এমন কোনও কিছু অনুভব করলে শৌচাগার থেকে তখনই বেরিয়ে আসুন।