৫০ কোটিরও বেশি ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ ফেসবুকের বিরুদ্ধে

এই প্রথম নয়, এর আগেও ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সাল থেকেই বারবার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

৫০ কোটিরও বেশি ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ ফেসবুকের বিরুদ্ধে
বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় মহিলাকে
Follow Us:
| Updated on: Apr 05, 2021 | 2:43 PM

ফেসবুকে ফাঁস হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য। রীতিমতো অফার দেওয়া হচ্ছে ওইসব ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্যের উপর। সম্প্রতি এক ‘লিকার’ দাবি করেছেন, নাম-ধাম, ফোন নম্বর- সহ ইউজারদের একাধিক তথ্য ফাঁস হয়েছে।

যদিও এই অভিযোগের পাল্টা দাবিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই অভিযোগ অনেকদিনের পুরনো। ২০১৯ সালেই এই সমস্যার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। আর তখনই (২০১৯ সালের অগস্ট মাসে) এই সমস্যার সমধান করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন- ফোনের ব্যাক কভারে হলুদ দাগ-ছোপ? কীভাবে পরিষ্কার করবেন, জেনে নিন

তবে এই অভিযোগ নতুন নাকি পুরনো, সেই বিতর্কের পাশাপাশি এখন মাথাচাড়া দিয়েছে আরও একটি প্রশ্ন। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে কতটা সুরক্ষিত ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য? অনেকদিন ধরেই এই প্রশ্ন ঘুরছে অনেকের মনে। ফেসবুকে যে এভাবে ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হচ্ছে, সেই ব্যাপারটা প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিল বিজনেস ইনসাইডার। তাদের রিপোর্ট অনুসারে, মোট ১০৬টি দেশের ইউজারদের ফোন নম্বর, ফেসবুক আইডি, ইউজারদের পুরো নাম, তাদের অবস্থা, জন্মদিন, ইমেল অ্যাড্রেস— সহ একাধিক ব্যক্তিগত ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, হ্যাকার বা লিকাররা নাকি বিনামূল্যেই এসব বিক্রি করে দিচ্ছে।

জানা গিয়েছে, বিশেষ কিছু ওয়েবসাইটে কার্যত হ্যাকারদের সামনে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি সংখ্যক ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য। এর ফলে যেকোনও রকম জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন যে কেউ। একজন ইউজারের অজান্তেই তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার হতে পারে অসামাজিক কাজের জন্য। ঘুণাক্ষরেও টের পাবেন না ইউজাররা। অথচ মুহূর্তের মধ্যে সর্বনাশ ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সাল থেকেই বারবার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।