ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনার WhatsApp অ্যাকাউন্টটা আর নেই! কী করবেন?

Tips To Recover Suspended WhatsApp Account: অজান্তেই আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি ব্যান বা সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মেসেজ চালাচালি করার জন্য জরুরি প্ল্যাটফর্মটি ফেরাতে কী করবেন, এখনই জেনে নিন।

ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনার WhatsApp অ্যাকাউন্টটা আর নেই! কী করবেন?
হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে প্রতি মুহূর্তে সাবধানতা জরুরি। প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2022 | 4:54 AM

সোশ্যাল মিডিয়া এখন আম আদমির জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এহেন সোশ্যাল মিডিয়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উপকারি হলেও কিছু ক্ষেত্রে খানিক বিড়ম্বনারও বটে। ফেসবুক, ট্যুইটার বা হোয়াটসঅ্যাপে আমরা যা দেখছি, তা সত্য কি না, অনেক সময় তা আমরা যাচাই করে উঠতে পারি না। আর যাচাই না করেই সেই সব ফরোয়ার্ডেড মেসেজ বা ছবি/ভিডিয়ো চালাচালি করছি এদিক-সেদিক। তার পরিণাম কিন্তু খুবই খারাপ হয়। অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যেতে পারে, কখনও আবার হাজতবাস পর্যন্ত করতে হতে পারে। বিশেষ করে, হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) ক্ষেত্রে যে বিষয়টা খুবই কঠোর ভাবে মনিটর করা হচ্ছে ইদানিং। ভুয়ো মেসেজ, ছবি বা ভিডিয়ো পাঠালেই অ্যাকাউন্ট ব্যান করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এদিকে আপনি কিছু জানেনই না। হুট করে একদিন সকালে উঠে দেখলেন আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটাই হাওয়া (Account Ban)। কী করবেন তখন?

একটু যদি খবরের ওয়েবসাইটগুলি ঘাঁটেন, তাহলে খেয়াল করবেন প্রতি মাসেই এক প্রকার নিয়ম করে লক্ষাধিক ভারতীয় ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এপ্রিল মাসেই দেশে এক ধাক্কায় প্রায় 16 লক্ষ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছিল ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি। অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ হওয়ার পিছনে একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে ইউজারদের অভিযোগের ভিত্তিতে 122টি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং 16.66 লাখ অ্যাকাউন্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বন্ধ করা হয়েছিল মেটার এই মেসেজ শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। আর একবার নিষিদ্ধ হয়ে গেলে, আপনি আর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার এই পদক্ষেপটি শুধুমাত্র ক্ষতিকারক কার্যকলাপে নিয়োজিত ব্যবহারকারীদের জন্য নেওয়া হয়েছিল।

এখন আপনার কাছে কী মেসেজ এল, সেটা আপনি যাচাই না করেই শেয়ার করছেন অন্য কারও কাছে। আর সেই মেসেজ যে কোনও ভাবে ক্ষতিকারক কার্যকলাপের উৎস হতে পারে, তা তো আপনার জানার কথা নয়। তাহলে জেনে রাখুন, হোয়াটসঅ্যাপের শর্তাদি মেনে চলেন না, এমন ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে সংস্থাটির কাছে। তা সত্ত্বেও সেই ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করে প্ল্যাটফর্মটি, যারা কেলেঙ্কারি, স্প্যাম বা ক্ষতিকারক কোনও তথ্য শেয়ার করেন। যদিও এ বিষয়ে কোনও আগাম সতর্কবার্তা সেই ইউজারের কাছে পাঠানো হয় না।

এখন আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যে ব্যান হয়ে গিয়েছে, তা আপনার জানা নেই। কী জন্য ব্যান করা হয়েছে, তা-ও জানেন না। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটা আর নেই। অ্যাকাউন্ট ব্যান বা সাসপেন্ড করলে ব্যবহারকারীর মোবাইলে একটি বার্তা পাঠায় হোয়াটসঅ্যাপ। আপনার ব্যান হওয়া অ্যাকাউন্টটি যেই খুললেন, তখনই ওই বার্তাটি নজরে আসবে। সেখানে লেখা থাকবে, “এই অ্যাকাউন্টের আর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার অনুমতি নেই।” কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে গেলে যে, সেটি আর ফেরানো যায় না। কী করবেন তাহলে?

আপনি যদি মনে করেন যে, আপনার অ্যাকাউন্ট ভুলবশত ব্যান হয়ে গিয়েছে, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপেও আপনার ব্যাখ্যা দিতে পারেন। সেখানে উল্লিখিত মেসেজটি ওপেন করার পর আপনি ‘সাপোর্ট’ অপশন দেখতে পাবেন। ওখানে ক্লিক করে আপনার ব্যাখ্যা এবং ফাইল পাঠানোর আর একটি অপশন দেখানো হবে। ওই ফাইলেই আপনাকে লিখতে হবে, ফোন নম্বর, ইমেল আইডি। একবার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার পর যদি অ্যাকাউন্টটি সঠিক বলে প্রমাণিত হয়, তাহলেই আপনার ব্যান হওয়া অ্যাকাউন্টটি আপনি ফিরে পেতে পারেন।