Social Media Day 2022: বিশ্বজুড়ে 30 জুন সোশ্যাল মিডিয়া দিবস পালিত হয় কেন? প্রথম প্ল্যাটফর্ম কোনটা ছিল, জানেন?

Significance And History: কেন পালিত হয় সোশ্যাল মিডিয়া দিবস? কী তার তাৎপর্য, প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কোনটি, এমনই নানাবিধ অজানা তথ্যগুলি জেনে নিন।

Social Media Day 2022: বিশ্বজুড়ে 30 জুন সোশ্যাল মিডিয়া দিবস পালিত হয় কেন? প্রথম প্ল্যাটফর্ম কোনটা ছিল, জানেন?
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2022 | 2:32 PM

30 জুন প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় সোশ্যাল মিডিয়া দিবস (Social Media Day)। 2010 সালে প্রথম বার পালিত হয়েছিল এই বিশেষ দিনটি। ম্যাশাবল (Mashable) নামক একটি এন্টারটেইনমেন্ট এবং মাল্টি-বিজ়নেস প্ল্যাটফর্ম সর্বপ্রথম এই দিনটি পালন করেছিল 2010 সালের আজকের এই দিনে। এর পিছনে মূল লক্ষ্য ছিল একটাই, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব এবং বিশ্বব্যাপী যোগাযোগে এর ভূমিকার উপরে ফোকাস করা। জেনে নেওয়া যাক, সোশ্যাল মিডিয়া দিবসের তাৎপর্য (Significance), কেন পালিত হয়, এমনই নানা অজানা তথ্য।

বিশ্বের প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম

1997 সালে প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি লঞ্চ করেছিলেন অ্যান্ড্রু ওয়েইনরিচ। সিক্স ডিগ্রিজ় নামের সেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীরা নিজেদের বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের তালিকাভুক্ত করতে পারতেন। পাশাপাশি বুলেটিন বোর্ড, স্কুল অ্যাফিলিয়েশন এবং প্রোফাইলগুলি অ্যাক্সেস করার মতো বৈশিষ্ট্যও উপভোগ করতে পারতেন ব্যবহারকারীরা। এক মিলিয়নের থেকেও ইউজারদের এই প্ল্যাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত করার পর 2001 সালে বন্ধ হয়ে যায় সিক্স ডিগ্রিজ়।

সোশ্যাল মিডিয়ার অগ্রগতি

আজকের সোশ্যাল মিডিয়া আর কেবল মাত্র বন্ধুদের সঙ্গে কানেক্ট করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সময় যত এগিয়েছে, ততই বেড়েছে তার পরিধি, বেড়েছে ব্যাপ্তিও। 2002 সালে লঞ্চ হয় ফ্রেন্ডস্টার নামক আর একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। লিঙ্কডইন ছিল প্রথম বিজ়নেস-ফোকাসড প্ল্যাটফর্ম, যা লঞ্চ হয় 2003 সালে। 2004 সালে লঞ্চ হয় অরকুট, যা ভারতে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়। সেই বছরেই ফেসবুক এবং মাইস্পেস-ও চলে আসে। এখন সারা বিশ্বে সবথেকে বেশি যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি, সেগুলি হল ইউটিউব (2005), ট্যুইটার (2006), হোয়াটসঅ্যাপ (2009), ইনস্টাগ্রাম (2010), স্ন্যাপচ্যাট (2011)।

সোশ্যাল মিডিয়া দিবসের তাৎপর্য

সারা বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়া দিবস পালিত হয়, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মগুলির গুরুত্ব এবং কীভাবে এটি আমাদের জীবন ও জীবনধারাকে পরিবর্তন করেছে। আজ বাচ্চাদেরও জানা যে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের, যে কোনও মানুষের সঙ্গে যোগাযোক করতে পারি। শুধু ব্যক্তিগত স্তরে নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বহু মানুষের এখন সংসারও চলে। এমন বহু সংস্থাই রয়েছে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে দিনের আলো দেখতে সক্ষম হয়েছে। প্রমোশন এবং বিজ্ঞাপনও এখন সোশ্যাল মিডিয়া খুব সহজ এবং সস্তার হয়ে গিয়েছে।

সুফল ও কুফল

সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্বব্যাপী যা ঘটছে তার তাৎক্ষণিক আপডেটে আমাদের সাহায্য করে। সোশ্যাল মিডিয়া সাধারণ মানুষকে এমনই ক্ষমতা দিয়েছে, যার সাহায্যে প্রতিভাবান ব্যক্তিরা নিজেদের প্রতিভা সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছেন। প্রচারের আলো না পাওয়া বহু মানুষকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। একটা সময় ছিল যখন, চাকরি এবং ব্যবসার সীমিত বিকল্প ছিল। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের রোজগারের একাধিক রাস্তা খুলে দিয়েছে। কিন্তু এহেন সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু কুফলও রয়েছে। ভাল কাজের প্রশংসা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে বিস্তর ট্রোলিংও। অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা অনেকের জীবনে হতাশাও ডেকে আনছে। এছাড়াও রয়েছে ভুয়ো খবরের রমরমা, যা অনেককেই বিভ্রান্ত করে।