Nadir Crater: আফ্রিকার সাগরে ডাইনোসরদের হত্যাকারী গ্রহাণুর ‘ছোট ভাই’-এর সন্ধান, পতনের সময় কেঁপে উঠেছিল পৃথিবী
Undersea Dinosaurs Crater: এই গর্তটি ডাইনোসরদের ধ্বংসকারী দৈত্যাকার শিলার থেকে অনেকটাই ছোট। পশ্চিম আফ্রিকার গিনির উপকূলে প্রায় 400 কিলোমিটার দূরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 300 মিটারেরও বেশি নিচে গর্তটি লুকিয়ে ছিল। সমুদ্রের তলদেশের গভীরতার কারণে আজ পর্যন্ত এই বিরাট গর্ত আবিষ্কার করা যায়নি।
একটা সময় পৃথিবীতে রাজত্ব করতে ডাইনোসররা (Dinosaurs)। পরে মহাকাশ থেকে পতিত একটি বিরাট শিলা পৃথিবীতে তাদের শাসনের সঙ্গেই ডাইনোসর প্রজাতিকেও অবলুপ্তির দিকে ঠেলে দেয়। ছোট, বড় বা মাঝারি যেমন সাইজ়েরই হোক না কেন, শিলা পৃথিবীতে পড়লেই গর্তের সৃষ্টি করে। এখন বিজ্ঞানীরা একটি নতুন গর্ত আবিষ্কার করেছেন, যা ডাইনোসর শেষ হওয়ার সময়ই পৃথিবীতে তৈরি হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, এই শিলাটি লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে পড়েছিল। ডাইনোসর ধ্বংসকারী পাথরের পতনের পরই এটি পৃথিবীতে পতিত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
এই গর্তটি ডাইনোসরদের ধ্বংসকারী দৈত্যাকার শিলার থেকে অনেকটাই ছোট। পশ্চিম আফ্রিকার গিনির উপকূলে প্রায় 400 কিলোমিটার দূরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 300 মিটারেরও বেশি নিচে গর্তটি লুকিয়ে ছিল। সমুদ্রের তলদেশের গভীরতার কারণে আজ পর্যন্ত এই বিরাট গর্ত আবিষ্কার করা যায়নি। স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গের হেরিওট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ উসদিন নিকলসন এই গর্তটির নাম দিয়েছেন নাদির ক্রেটার (Nadir Crater)।
এই গর্তের আয়তন 8 কিমি। বিজ্ঞানীরা সম্ভাবনা কথা জানিয়ে বলছেন, এই গ্রহাণুটি যেখান থেকে তৈরি হয়েছে তার আয়তন ০.৪ কিমি। ডক্টর নিকলসনের কথায়, “এই ধরনের আবিষ্কার পৃথিবীর আলট্রাসাউন্ডের মতো। আমি আমার জীবনের 20 বছর তাদের সন্ধানে কাটিয়েছি। আজকের আগে এমন কিছু দেখিনি। নাদির ক্রেটারের আকার আকার পৃথিবীর অন্যান্য গর্তের মতোই। এটি মাঝখানে গভীর এবং এর চারদিকে উঁচু মাটি রয়েছে। ভূমিকম্পের কম্পন নিশ্চয়ই এর সংঘর্ষের কিছুটা দূর থেকেই অনুভূত হয়েছিল।”
যে মহাকাশ শিলা ডাইনোসরদের হত্যা করেছিল, তা মেক্সিকো উপসাগরে পড়ে চিক্সউলুব ক্রেটার (Chicxulub Crater) তৈরি করেছিল। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন যে, এই শিলাটির প্রস্থ প্রায় 12 কিলোমিটারের কাছাকাছি। এই কারণেই প্রায় 200 কিলোমিটার প্রশস্ত একটি গর্ত তৈরি হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, এই গ্রহাণুর সংঘর্ষের ফলে একটি বড় সুনামি হয়েছিল এবং অনেক বনে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। আর তার ফলেই পৃথিবীর অনেক ধ্বংসাবশেষ মহাকাশে চলে গেছে।