ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়েছে চিনের রকেট, তীব্র নিন্দায় সরব নাসা

শোনা গিয়েছে, পৃথিবীর কক্ষপথে নিজের দেশের একটি মহাকাশ স্টেশন বানাতে চলেছে চিন। এই প্রকল্পটির নাম ‘তিয়ানহে মহাকাশ স্টেশন’। সূত্রের খবর, মহাকাশের এই প্রকল্পের জন্যই সুবিশাল লং মার্চ ৫বি রকেটটি তৈরি করেছিল চিন।

ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়েছে চিনের রকেট, তীব্র নিন্দায় সরব নাসা
ছবি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: May 10, 2021 | 8:59 PM

ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়েছে চিনের বৃহত্তম রকেট লং মার্চ ফাইভ বি (Long March 5B)। মহাসাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য। আর তাই নিয়েই তীব্র নিন্দা করেছে নাসা। সরব হয়েছেন, নাসার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান বিল নেলসন। তিনি বলেছেন, “যেসব দেশ মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে ভয়-আতঙ্কের সৃষ্টি করতে চায়, তাদের উচিত পৃথিবীর সম্পদ এবং মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং নিজেদের অভিযানের ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারনা দেওয়া উচিত।

এখানেই থামেননি বিল। তিনি আরও বলেছেন যে, এই পরিস্থিতি সত্যিই ভয়ানক। চিন এবং অন্যান্য স্পেসফিয়ারিং দেশের উচিত এ ধরণের ব্যবসায়িক মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে আর একটু দায়িত্ববান হওয়া এবং অভিযানের ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারনা দেওয়া। তাহলে মহাকাশের বাইরের অংশ নিরাপদ, সুরক্ষিত থাকবে। ভবিষ্যতেও গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হবে না। নেলসন বিল জানিয়েছেন, এটা স্পষ্ট যে রকেট ভেঙে পড়ার পর তার ভাঙা বর্জ্যের দায় নিতে এবং সঠিক আচরণ দেখাতেও চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে চিন।

গত ২৯ এপ্রিল চিনের হাইনান দ্বীপ থেকে এই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। তবে উৎক্ষেপণের কদিন পরই শোনা গিয়েছিল অনিয়ন্ত্রিত ভাবে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এই রকেট। যেকোনও মুহূর্তে আছড়ে পড়বে পৃথিবীর বুকে। তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে আসার পরই এই চিনা রকেটের বেশিরভাগ অংশ জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরও যে পরিমাণ বর্জ্য ভারত মহাসাগরে এসেছে পড়েছে, তা অতিমাত্রার দূষণের জন্য যথেষ্ট।

আরও পড়ুন- পাখির মত দেখতে ২ ফুটের ডায়নোসর, নিশুতি রাতের ভয়ঙ্কর শিকারি ছিল এরা, শ্রবণশক্তি পেঁচার থেকেও প্রখর

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বেজিংয়ের সময় রবিবার সকাল ১০টা ২৪মিনিট আর ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ৪৫মিনিটে ভেঙে পড়েছে চিনের বৃহত্তম রকেট। উল্লেখ্য, গত বছরও চিনের তৈরি প্রথম লং মার্চ ফাইভ বি রকেট ভেঙে পড়েছিল। আইভরি কোস্টের কাছে ভেঙে পড়েছিল ওই সুবিশাল রকেট। যদিও এই রকেটের ভাঙা অংশের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি সেবার। চলতি বছরও আপত দৃষ্টিতে কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু ভারত মহাসাগরে ১৮ থেকে ২৩ টন বর্জ্য ভেসে থাকায় দূষণের মাত্রা যে আগামী দিনে বাড়বে সেটা বোঝা গিয়েছে।