Shortest Day: আরও জোরে ঘুরছে পৃথিবী, সবথেকে ছোট দিনের রেকর্ড ভাঙল, ভয়ঙ্কর প্রভাব নিয়ে চিন্তায় বিজ্ঞানীমহল

Earth Rotating Faster: গত ২৯ জুলাই, ২৪ ঘণ্টার থেকে মাত্র ১.৫৯ মিলিসেকেন্ডে কম সময়ে নিজের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে নিজেরই গড়া সবথেকে ছোট দিনের রেকর্ডটি ভেঙে ফেলেছে পৃথিবী।

Shortest Day: আরও জোরে ঘুরছে পৃথিবী, সবথেকে ছোট দিনের রেকর্ড ভাঙল, ভয়ঙ্কর প্রভাব নিয়ে চিন্তায় বিজ্ঞানীমহল
কেন এত তাড়াতাড়ি ঘুরছে পৃথিবী?
Follow Us:
| Updated on: Aug 02, 2022 | 8:16 PM

প্রাচীনকালে মনে করা হত পৃথিবীর (Earth) চারপাশে ঘুরছে সূর্য (Sun)। বিজ্ঞানী কোপার্নিকাসের সৌজন্যে আজ আমরা জানি যে, সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তন ঘুরে চলেছে পৃথিবী। এবার এই ঘূর্ণন সম্পর্কে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা মানবজগতের জন্য এক্কেবারেই সুখকর নয়! নিজ কক্ষপথে একবার ঘুরতে পৃথিবীর সময় লাগে ২৪ ঘণ্টা বা ১ দিন (One Earth Day)। এবার এই রেকর্ড ভেঙে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে পৃথিবী নিজের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করল, যে ঘটনায় রীতিমতো শঙ্কিত মহাকাশবিজ্ঞানীরা।

ঘূর্ণনের গতি বাড়িয়েছে পৃথিবী

সম্প্রতি ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে নিজের কক্ষপথে একবার প্রদক্ষিণ করে সবথেকে ছোটো দিনের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে নীল গ্রহ। নির্দিষ্ট ২৪ ঘণ্টার আগে এক দিন শেষ হয়ে গেলে কী আর হবে? এ প্রশ্ন উঠছে অনেকের মনেই। আসলে এমন চলতে থাকলে নেতিবাচক লিপ সেকেণ্ডের প্রবতর্নের দিকে এগিয়ে যাবে বিশ্ব, ওলটপালট হয়ে যেতে পারে আমার আপনার সব হিসেব।

নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙল পৃথিবী

মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, ২৯ জুলাই আমাদের ধরিত্রী ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে নিজ কক্ষপথে একবার প্রদক্ষিণ করেছে। এক পার্থিব দিবসের থেকে প্রায় ১.৫৯ মিলিসেকেন্ড কম সময়ে একবার প্রদক্ষিণ করেছে পৃথিবী, আর এতেই বিজ্ঞানীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। সবথেকে ছোট পার্থিব দিনের রেকর্ডও ভেঙে ফেলেছে আমাদের গ্রহ।

কবে থেকে রেকর্ড ভাঙার তোড়জোড় পৃথিবীর?

এ ঘটনা যে অতি সাম্প্রতিক তা বলছেন খোদ মহাকাশবিজ্ঞানীরা। ২০২০ সালে পৃথিবী সবথেকে ছোট দিন প্রত্যক্ষ করে। ১৯৬০ সাল থেকে রেকর্ড করা তথ্য বলছে, ২০২০ সালের ১৯ জুলাই অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেয় পৃথিবী। সেইদিন ২৪ ঘণ্টার থেকে প্রায় ১.৪৭ মিলিসেকেন্ড কম সময়ে কক্ষপথে একবার প্রদক্ষিণ করে পৃথিবী।

হঠাৎ ঘূর্ণনের গতি বদলাচ্ছে কেন পৃথিবী?

ইসরোর মহাকাশবিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর প্রদক্ষিণের গতি বেড়ে গেলে সাধারণত তার পরের বছরেও এই বর্ধিত হারেই ঘুরতে থাকে গ্রহ। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, ছোট দিনের এহেন পর্যায় এবার শুরু হতে পারে, যা চলবে আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত। যদিও হঠাৎ-হঠাৎ এমন জোরে ঘুরতে থাকার অর্থ কী, কারণই বা কী? বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত তার কোনও সদুত্তর জানাতে পারেননি।

অধিক গতিতে ঘূর্ণনের সঠিক কারণ অজানা, সম্ভাব্য কারণ কী?

মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর এই ভিন্ন ঘূর্ণন গতির নানা অভ্যন্তরীণ কারণে হতে পারে। আবার বাইরের বায়বীয় স্তরের কারণেও বেড়ে যেতে পারে গতি। মহাসাগরের জোয়ার-ভাঁটা, জলবায়ুর পরিবর্তনও এই মহাজাগতিক ঘটনার নেপথ্য কারণ হতে পারে। গবেষকদের মতে, পৃথিবীর উপরিভাগের যে অংশ ‘চ্যান্ডলার ওয়াবল’ নামে পরিচিত, সেই অংশেই গতিশক্তি তৈরি হয়। আর তার জেরেই ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে পৃথিবীর গতি। এই স্তরের জেরে ঘূর্ণনের গতি কমেও যেতে পারে বলে মত বিজ্ঞানীদের।

বিধ্বংসী প্রভাব, সামঞ্জস্য বজায় রাখতে ড্রপ সেকেন্ড

এই মহাজাগতিক ঘটনা ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে পৃথিবীর বিজ্ঞানমহলে। এই ভাবে ক্রমবর্ধমানে হারে ঘুরতে থাকলে লিপ সেকেন্ডের প্রবর্তন হতে পারে, সেক্ষেত্রে পারমাণবিক ঘড়ির মাপকাঠির সঙ্গে সমাঞ্জস্য রাখতে ব্যর্থ হবে পৃথিবী। ফলে, এই লিপ সেকেন্ড আমাদের স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যান্য যে কোনও ডিভাইসে যান্ত্রিক ত্রুটির সৃষ্টি করবে আর, তৈরি হতে পারে বিভ্রান্তি! লিপ সেকেণ্ডের ত্রুটি কাটাতে যোগ করতে হতে পারে অতিরিক্ত ‘ড্রপ সেকেন্ড’, মত মহাকাশবিজ্ঞানীদের।