Helicopter Catches Falling Rocket: মাঝ-আকাশে ফিরে আসছে রকেট, সেটাই ধরা হল হেলিকপ্টারের সাহায্যে
Helicopter Catches Falling Rocket: ক্যালিফোর্নিয়ার কোম্পানি রকেট ল্যাব, যারা রকেট এবং স্পেসক্র্যাফট অর্থাৎ মহাকাশযান নির্মাণ করে তারাই এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন।
রকেটের (Rocket) উৎক্ষেপণ ঠিকভাবেই হয়েছিল। কিন্তু আচমকাই মাঝপথে পৃথিবীর দিকে ফিরে আসছিল ওই রকেট। আর এই অবস্থায় মাঝ আকাশেই হেলিকপ্টারের সাহায্যে ওই রকেটটিকে (Falling Rocket) ধরা হয়েছে এবং তারপর তা ফেলে দেওয়া হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে। আর তারপর সেটিকে উদ্ধার করেছে একটি বোট। সম্ভবত প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে। বলা ভাল ঐতিহাসিক এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন পৃথিবীবাসী। মহাশূন্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া একটি রকেট মাঝপথ থেকে ফিরে আসছিল। আর সেই ধেয়ে আসা রকেটকেই একটি হেলিকপ্টারের সাহায্যে ধরে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে নিরাপত্তার কারণে সঙ্গে সঙ্গে রকেটটিকে এমনভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় যাতে সেটি প্রশান্ত মহাসাগরে পড়তে পারে। জানা গিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের প্রত্যন্ত মাহিয়া পেনিনসুলা বা উপদ্বীপ থেকে এই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার কোম্পানি রকেট ল্যাব, যারা রকেট এবং স্পেসক্র্যাফট অর্থাৎ মহাকাশযান নির্মাণ করে তারাই এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন। ওই সংস্থার হেলিকপ্টারের মাধ্যমেই রকেটটিকে মাঝ আকাশে ক্ষণিকের জন্য হলেও ধরা সম্ভব হয়েছিল।
দেখে নিন সেই বিরল মুহূর্তের ভিডিয়ো
This is what it looked like from the front seats. pic.twitter.com/AwZfuWjwQD
— Peter Beck (@Peter_J_Beck) May 3, 2022
ক্যালিফোর্নিয়ার সংস্থা রকেট ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা পিটার বেক জানিয়েছেন, এই জটিল ঘটনা অনেকাংশেই supersonic ballet- এর মতো। কিন্তু কেন এত ঝুঁকি নিয়েছে ওই সংস্থা? জানা গিয়েছে, এর মূল কারণ হল রকেট ল্যাব তাদের ছোট ইলেকট্রন রকেটগুলিকে পুনরায় ব্যবহার করতে চাইছে। সেই জন্য মাঝ আকাশে ওভাবে ফিরে আসা রকেটটিকে ধরে তা প্রশান্ত মহাসাগরে নিক্ষেপ করানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এপি- র প্রতিবেদন অনুসারে, রকেট ল্যাব কোম্পানি প্রায়শই তাদের ১৮ মিটারের (৫৯ ফুট) রকেট নিউজিল্যান্ডে মাহিয়া পেনিনসুলা বা উপদ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণ করে। মহাকাশে পাঠানো হয় এইসব রকেট।
মঙ্গলবার সকালে নতুন ইলেকট্রন রকেট লঞ্চ করা হয়েছে ওই উপদ্বীপ থেকে। এই রকেটের সাহায্যে ৩৫টি স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে অরবিটে। এরপরেই রকেটের মূল বুস্টার সেকশন ভেঙে পড়তে শুরু করেছিল । ক্রমশ রকেটের ওই অংশ ধেয়ে আসছিল পৃথিবীর দিকে। এই রকেটের অবতরণ ধীরে করার জন্য একটি প্যারাশুটের ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০ মিটার করে ধীরে করা হচ্ছিল রকেটের অবতরণ। এর পরবর্তী পর্যায়ে Sikorsky S-92 হেলিকপ্টারে থাকা সদস্যরা চপারের নীচে একটি হুক সমেত লম্বা দড়ির মতো লাইন ঝুলিয়ে দিয়েছিল। রকেটে থাকা প্যারাশুটের স্ট্রিং কাটার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল এই লাইন। ১৯৮০ মিটার (৬৫০০ ফুট) উচ্চতায় রকেটটিকে ধরতে সক্ষম হয়েছিল ওই হেলিকপ্টার। কিন্তু হেলিকপ্টারের উপর রকেটের চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকায় সুরক্ষার খাতিরেই তা ছেড়ে দেওয়া হয়। এই গোটা কর্মকাণ্ড লাইভ রেকর্ডিংও করা হয়েছে।