‘যে আদালতে মামলা চলছে সেখানেই আবেদন করুন’, কোভিড বেড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে দিল্লির কোভিড (COVID) পরিস্থিতি। বেড়ে চলেছে হাসপাতালে বেডের চাহিদা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্প্রতি রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে নোটিস পাঠিয়েছিল দিল্লি সরকার (Delhi Government)। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাদের ৮০ শতাংশ আইসিইউ বেড কোভিড ( (COVID)) রোগীর জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। ৩৩টি নামজাদা বেসরকারি হাসপাতালের কাছে এই নোটিস যায়। এরপরই দিল্লি হাই […]

'যে আদালতে মামলা চলছে সেখানেই আবেদন করুন', কোভিড বেড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Nov 10, 2020 | 11:50 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে দিল্লির কোভিড (COVID) পরিস্থিতি। বেড়ে চলেছে হাসপাতালে বেডের চাহিদা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্প্রতি রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে নোটিস পাঠিয়েছিল দিল্লি সরকার (Delhi Government)। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাদের ৮০ শতাংশ আইসিইউ বেড কোভিড ( (COVID)) রোগীর জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। ৩৩টি নামজাদা বেসরকারি হাসপাতালের কাছে এই নোটিস যায়। এরপরই দিল্লি হাই কোর্টে যায় ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথকেয়ার প্রোভাইডারস’।

হাই কোর্ট আম আদমি পার্টির (Aam Admi Party) সরকারের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। পাল্টা সরকারও এই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সেই আবেদন খারিজ করে দিল। বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বি আর গভাইয়ের বিশেষ বেঞ্চ এ দিন দিল্লি সরকারকে নির্দেশ দেয়, যেখানে এই বিষয়টি বিচারাধীন সেই দিল্লি হাই কোর্টেই তারা আবেদন করুক।

ঘটনার সূত্রপাত

গত ১২ সেপ্টেম্বর অরবিন্দ কেজরীবালের সরকারের তরফে ৩৩ টি বেসরকারি হাসপাতালের কাছে নির্দেশ যায়। বলা হয়, ৮০ শতাংশ আইসিইউ বেড কোভিড রোগীদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের। ২২ সেপ্টেম্বর সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও যায় রাজ্য সরকার। ২৯ নভেম্বর যার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এরইমধ্যে হাই কোর্টের নির্দেশের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সরকার। তারা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে একটি আবেদন জমা দেয়। সেখানে বলা হয়, “এই নির্দেশ কার্যকর হলে কমপক্ষে ৫০০ জন রোগীর প্রাইভেট হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে ভর্তি হওয়া নিশ্চিত করা যাবে।”

এদিন সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি হাই কোর্টকে নির্দেশ দিয়েছে দীপাবলির ছুটির আগেই এই মামলার শুনানি করতে। যেহেতু এটি জনস্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মামলা, শুনানির দিন এগিয়ে ১২ নভেম্বর করার কথা বলা হয়েছে।