স্বাধীনতার পর প্রথম নদী কনভেনশন
নদী বোজানো, নদীর পারে অবৈধ নির্মাণ, নদী খাতে অবাধ ও অবৈধ খননের ফলে ভুগছে নদীর ওপর নির্ভরশীল এবং নদীর পার্শ্ববর্তী জনজীবন। তাই নদী নিয়ে পরিবেশকর্মীদের উদ্বেগ দীর্ঘদিনের। কোনও সরকারি দফতরে যখনই নদী নিয়ে কিছু বলতে গিয়েছেন তখনই তাঁরা দিয়েছে অন্য দফতরের দরজা।
বাংলার প্রায় ২৫০টি নদী, উপনদী এবং শাখানদী যুগযুগ ধরে তাদের অববাহিকাকে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা করে রেখেছে। অথচ ভেবে অবাক হতে হয় এই রাজ্যের প্রায় ২৬টা নদীর অস্ত্বিত্ব এখন আর নেই। পরিবেশ কর্মীরা বলছেন চুরি হয়ে গিয়েছে ওই নদীগুলো। দিনে দিনে স্বাস্থ্য রুগ্ন হয়েছে ইছামতি, আত্রেয়ী, জলঙ্গি, মাথাভাঙ্গা আর কানা দামোদরদের। নদী বোজানো, নদীর পারে অবৈধ নির্মাণ, নদী খাতে অবাধ ও অবৈধ খননের ফলে ভুগছে নদীর ওপর নির্ভরশীল এবং নদীর পার্শ্ববর্তী জনজীবন। তাই নদী নিয়ে পরিবেশকর্মীদের উদ্বেগ দীর্ঘদিনের। কোনও সরকারি দফতরে যখনই নদী নিয়ে কিছু বলতে গিয়েছেন তখনই তাঁরা দিয়েছে অন্য দফতরের দরজা। এই দায় চাপানোর খেলায় নষ্ট হয়েছে আমাদের সভ্যতার জীবনরেখা, নদীগুলো। তাই এ বার অরাজনৈতিক পরিবেশ সংগঠন ও মৎস্যজীবি সংগঠন সমবেত হয়েছেন নদীর স্রোতময়তার দাবিতে, স্বতন্ত্র একটি নদী মন্ত্রকের জন্য। নির্বাচনে নদী নিয়ে দাবিগুলো হয়ে উঠুক ইস্যু। সরকার গঠনের সময়ে নদী নিয়ে হোক আলাদা মন্ত্রক। নদী না বুজে নদী কেন্দ্রিক কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিক সরকার। রাজনৈতিক দলগুলো সোচ্চার হোক নদী সংরক্ষণের দাবিতে। এইসব স্বপ্ন নিয়েই একজোট হলেন তাঁরা। তাই তো দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ রকম একটা নদী কনভেনশন করতে কেটে গেল প্রায় সাতটা দশক!