পেশায় অটোচালক প্রাক্তন জাতীয় বক্সার, তাঁর স্বপ্নের বক্সিং অ্যাকাডেমি গড়তে হাত বাড়ালেন আনন্দ মহিন্দ্রা
আবিদ খানের পরিস্থিতির কথা শুনে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল সকলেরই। তবে গল্পের শেষটা বোধহয় আনন্দের হতে চলেছে। সৌজন্যেও রয়েছেন এক আনন্দ।
সদ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল একটি ভিডিয়ো। সেখানে দেখা গিয়েছিল, জাতীয় স্তরের একজন বক্সার বর্তমানে অটো চালান। রুজি-রুটির তাগিদে মাঝে মাঝে মুটের কাজও করতে হয়। আবিদ খানের ভিডিয়ো ভাইরাল হতে কয়েক মুহূর্ত সময় লেগেছিল। যোগ্য মানুষের এতটা অসম্মান দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন নেটাগরিকরা।
দু’ভাগে ভাগ হয়ে যান নেটিজেনরা। শুরু হয় তর্ক। প্রকাশ পায় নানা মুনির মত। আর তখনই বিভিন্ন কথায় জানা যায় যে, শুধু পেশাদার বক্সার ছিলেন না আবিদ খান। সেই সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বক্সিং দলকে পাঁচ বছর ট্রেনিংও করিয়েছেন তিনি। জিতেছিলেন উত্তর ভারতের বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খেতাব। নিজের যৌবন কালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বক্সিং প্রতিযোগিতায়ও গিয়েছিলেন আবিদ খান। ১৯৮০- র শেষের দিকে পাতিয়ালার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টসের ছাত্রও ছিলেন তিনি।
Thank you Saurabh, for telling us Abid’s story. I especially appreciate his not looking for a handout. In any case I prefer investing in people’s talents & passion rather than offer charity. Please let me know how I can invest and support his ‘startup’ boxing academy… https://t.co/409LslAvHu
— anand mahindra (@anandmahindra) April 18, 2021
কিন্তু এত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও একটা চাকরি জোটেনি তাঁর। যোগ্যতা থাকার পরেও বিভিন্ন জায়গা থেকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে এবং স্তুস্তি বাক্য শুনে। শেষ পর্যন্ত পরিবারের ভরণপোষণের দায়ে অট চালানোর রাস্তাই বেছে নিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে গায়ে গতরে খেটে প্রচুর পরিশ্রম করে আরও নানা রকমের কঠিন কাজ করেন আবিদ। নিজের অবস্থার কারণে ছেলেমেয়েদেরও খেলাধুলোর দিকে যেতে দিতে চান না। ইউটিউবের ওই ভিডিয়োতে খালি একবার বলে ফেলেছেন যে আবার প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে ফিরিতে চান। অর্থাৎ কোচ হিসেবে রিং- এ ফেরার স্বপ্ন এখনও দেখেন আবিদ খান।
আরও পড়ুন- বিয়ের গাউন পরে ভ্যাকসিন নিতে গেলেন কনে! কিন্তু কেন…
আবিদ খানের পরিস্থিতির কথা শুনে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল সকলেরই। তবে গল্পের শেষটা বোধহয় আনন্দের হতে চলেছে। সৌজন্যেও রয়েছেন এক আনন্দ। আবিদের ফের কোচ হতে চাওয়ার স্বপ্নের কথা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রার কাছে। প্রতিবারের মতোই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিজনেস টাইকুন। টুইট করে তিনি লিখেছেন, আবিদের বক্সিং অ্যাকাডেমির জন্য বিনিয়োগ করতে চান। আনন্দ মহিন্দ্রার কথায়, “উনি কারও কাছে সাহায্য চাননি। এটাই সবচেয়ে প্রশংসার। আমি সবসময় মেধাবী লোকেদের মেধা এবং প্যাশনের উপর বিনিয়োগ করতে পছন্দ করি, অনুদান দিতে নয়। আমায় জানাবেন কীভাবে ওঁর স্টার্টআপ বক্সিং অ্যাকাডেমির জন্য বিনিয়োগ করতে পারব।“