মর্মান্তিক! হাসপাতালের পার্কিং এলাকায় প্রকাণ্ড সিঙ্কহোলে পড়ে গেল তিনটি গাড়ি, ভাইরাল ভিডিয়ো

Video viral: দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা পরিষেবা থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। সেখানে হাজির হয় স্পেশাল উদ্ধারকর্মীর একটি দলও।

মর্মান্তিক! হাসপাতালের পার্কিং এলাকায় প্রকাণ্ড সিঙ্কহোলে পড়ে গেল তিনটি গাড়ি, ভাইরাল ভিডিয়ো
ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 09, 2021 | 7:08 PM

জেরুজালেমের শারে জেদাক মেডিক্যাল সেন্টারের কাছে একটি পার্কিং লটে বিশাল ধস নেমে মর্মান্তিক ঘটনার ভিডিয়ো সামনে এসেছে। সোমবারের এই ঘটনায় মাটির গভীরে চলে গিয়েছে তিনটি গাড়ি। ফটো ও ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, আচমকা পার্কিং এলাকার রাস্তার মাঝখানে বিশাল গর্ত হয়ে মাটিতে ধস নামে। বিশাল এলাকাজুড়ে ধস নামলে ওই চত্বরে পার্ক করা তিনটি গাড়ি হুড়মুড়িয়ে মাটির নীচে চলে যায়। তড়িঘড়ি জরুরি পরিষেবার তরফে একটি দল উদ্ধারকাজ শুরু করে । তল্লাশি অভিযানের শেষে জানা যায়, এই ভয়ংকর ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই।

স্থানীয় সংবাদ এজেন্সি টাইমস অফ ইসরাইলের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই এলাকার কাছেই একটি টানেল তৈরির কাজ চলছিল। সেই টানেল হাসপাতাল ও পার্কিং এলাকার নীচ দিয়েও গিয়েছে। জানা গিয়েছে, টানেলের একাংশ ভেঙে পড়ার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রসঙ্গত, নয়া পার্কিং এলাকায় সম্প্রতি খুলে দেওয়ায় সেখানে হাজারেরও বেশি গাড়ি পার্ক করা সুযোগ রয়েছে। তবে ভাগ্যের পরিহাস, পুরনো পার্কিং এলাকার খুব কাছেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কিছুটা দুরেই রয়েছে গাড়ি পার্ক করার পে স্টেশন।

আরও পড়ুন: বন্যায় ভেসে গিয়েছে গাড়ি, কোনওমতে গাছের ডাল আঁকড়ে ভেসে রয়েছেন মহিলা!

দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা পরিষেবা থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। সেখানে হাজির হয় স্পেশাল উদ্ধারকর্মীর একটি দলও। ধসের সঙ্গে সঙ্গে কোনও ব্যক্তি বা গাড়ির মধ্যে কেউ আটকে রয়েছে কিনা তা দেখার জন্য মাটির নীচে প্রবেশ করে ওই দল। তবে ঘটনায় কেউ আহত বা হত হননি।

অন্যদিকে, শনিবার, ভূমিধসের কারণে মেক্সিকোর পুয়েব্লা রাজ্যে ৩০০ ফিট গভীর সিঙ্কহোল তৈরি হয়।নিউ ই.র্ক পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, গভীর ও বিশাল গর্তে প্রবেশ করেছে ভূগর্ভস্থ জল যা ৬০ ফিট গভীর বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিঙ্কহোলের একবারে পাশেই অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি পাকা বাড়ি। , সকাল ৬টা নাগাদ, সেই বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, প্রকাণ্ড আওয়াজে বাড়ি পুরো কেঁপে ওঠে। কিছু বোঝার আগেই বাইরে বেরিয়ে আসলে, বুঝতে পারিনি কী ঘটনা ঘটেছে। পরে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বুঝতে পারেন যে বাড়ির গা লাগোয়া একটি সুবিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে, আর আমরা তার একেবারে কিনারায় দাঁড়িয়ে রয়েছি। সেই সিঙ্কহোলে বুদবুদ করতে করতে জল বেড়েই চলেছে। সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।