Viral: বিয়ের পরই জঘন্য দাবি পাত্রপক্ষের, পোশাক পরে দুই কনে এমন খেল দেখালেন, ঘুম উড়ল পাড়াপড়শি সকলের

Groom Demands Dowry After Marriage: বিয়ে হয়ে গেল। মালাবদল থেকে সিঁদুরদান, সবই হল মিয়ম মেনেই। কিন্তু বিয়ে শেষ হতে যখন কনের বিদায়ের পালা এল, তখনই পণের দাবি করে বসল পাত্রপক্ষ। তার পর যা ঘটল...

Viral: বিয়ের পরই জঘন্য দাবি পাত্রপক্ষের, পোশাক পরে দুই কনে এমন খেল দেখালেন, ঘুম উড়ল পাড়াপড়শি সকলের
রাজস্থানের ওই দুই কনে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 12, 2022 | 7:49 PM

ফের একবার বেআব্রু হল এই দেশ। পণের দাবিতে পণ্ড হয়ে গেল বিয়ে। ধুমধাম করেই বিয়ের অনুষ্ঠানটি (Marriage) সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিয়ে শেষ হতেই পাত্রপক্ষের মাথায় চাপে যৌতুকের (Dowry) ভূত! কনের যখন বিদায় হওয়ার সময়, তখন ৫ লাখ টাকা নগদ, বাইক ও গয়না যৌতুক হিসেবে দাবি করে বসে পাত্রপক্ষ। কিন্তু কনেপক্ষের যে সে সব দাবি পূরণের সামর্থ্য নেই। সে সব কথা কনের বাবা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও পাত্রের বাবা একই দাবিতে অনড় থাকে। আসলে বিয়ে হয়েছিল একই পরিবারের দুই মেয়ের। একসঙ্গে দুই মেয়ের জন্যই এই বিরাট অঙ্কের টাকা, বাইক ও গয়না চেয়ে বসে পাত্রপক্ষ। শেষমেশ দুই পাত্রকে নিয়ে বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে চলে যান তাদের বাবা। এদিকে তারা চলে যেতেই দুই মেয়ে থানায় গিয়ে পাত্রপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসে। রাজস্থানের ভরতপুরের বায়নার সিকান্দ্রায় এই ঘটনাটি ঘটে। নেটপাড়ায় এই ঘটনা এখন খুব ভাইরাল (Viral) হয়েছে।

সিকান্দ্রার শিবশঙ্কর জাটবের মেয়ে সুষমা ভারতী এবং তাঁর ভাই হরিশঙ্করের মেয়ে রাজকুমারীর বিয়ে হয় গত মঙ্গলবার রাতে। সুষমা ও রাজকুমারীর বয়স যথাক্রমে ১৯ বছর ও ২১ বছর। সব নিয়ম মেনে বেশ জাঁকজমক ভাবেই দুজনের বিয়ে হয়। মালাবদল হয়। হয় সিঁদুরদানও। কিন্তু ততক্ষণ যৌতুকের কথা পাত্রপক্ষের মাথায় ছিল না। ঠিক যখন দুই মেয়ের বিদায়ের সময় আসে, তখনই সেই ৫ লাখ টাকা, বাইক এবং গয়নার উদ্ভট দাবি করে বসে পাত্রপক্ষ।

এতটাই বেশি পণের দাবি করা হয়েছিল যে, তা দিতে অপারগ ছিল কন্যাপক্ষ। শিবশঙ্কর একজন শ্রমিক এবং তাঁর ছোট ভাই হরিশঙ্কর বিশেষ ভাবে সক্ষম এক ব্যক্তি। নিজেদের অপারগতার কথা তাঁরা জানান পাত্রপক্ষকে। মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুনয়-বিনয়ও করতে থাকেন তাঁরা। কিন্তু পাত্রপক্ষ রাজি হয়নি। কিন্তু তাঁরা উভয় পাত্রীকেই ফেলে রেখে চলে যায়। বুধবার বিকেলে কনেরা তাঁদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বিয়ের পোশাক পরেই থানায় পৌঁছে অভিযোগ করেন।

জানা গিয়েছে, পাত্রপক্ষের বাড়ি রাজস্থানের রামপুরার গাধিবজনায়। সুষমা ও ভারতী দুজনে যাদের গলায় মালা পরিয়েছিলেন তাদের একজনের নাম জল সিং এবং অপরজন উদয় সিং। দুজনে একে অপরের খুর্তুতো ভাই। পবনের ছেলে জল সিং এবং গৌরবের ছেলে উদয় সিং। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা বিয়ে করতে আসে। বুধবার সকালে বিদায়ের সময়ই অবাক দাবি করে বসে। কনে সুষমার বাবা শিবশঙ্কর জাটব বলেন, “ওরা যা দাবি করে সবই বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে। আগে থেকে কিছুই জানায়নি। আর অত টাকা দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের ছিল না।”

এদিকে পাত্রপক্ষ রামপুরার বাসিন্দা জল সিং এবং তার ভাই উদয় সিং দুজনেই ট্রাক্টর চালান। কনে সুষমার বাবা শিবশঙ্কর জানান, বর ও তার পরিবার ৫ লাখ টাকা যৌতুক, বাইক ও সোনার গহনার দাবি করেছিল। এ নিয়ে বর-কনে উভয়ের মধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথাবার্তা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। বিয়ের পুরো খরচ বহন করেন পরিবারের বড় ভাই শিবশঙ্কর। তাঁর কথায়, “বিয়েতে খরচ হয়েছে ৭ লাখ টাকা। এত টাকা খরচ হওয়ার পরেও কনেদের না নিয়েই ফিরে আসে দুই বর।”