Viral Video: গ্রাম ও স্কুলের মাঝে ছোট্ট একটা নদী, নেই ব্রিজ, দড়ির উপরে হেঁটে পড়াশোনা করতে যাচ্ছে কচিকাচারা

Madhya Pradesh: গ্রাম ও স্কুল। তার মাঝে বয়ে গিয়েছে ছোট্ট একটা নদী। কিন্তু সেই নদীতে কোনও ব্রিজ নেই। তাহলে পড়ুয়ারা কীভাবে স্কুলে যাবে? জীবন বিপন্ন করে একটা দড়ির উপরে হেঁটেই স্কুলে যেতে হচ্ছে তাদের। দেখুন ভিডিয়ো।

Viral Video: গ্রাম ও স্কুলের মাঝে ছোট্ট একটা নদী, নেই ব্রিজ, দড়ির উপরে হেঁটে পড়াশোনা করতে যাচ্ছে কচিকাচারা
পড়াশোনায় প্রতিবন্ধকতার কারণ যেখানে একটা নদী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 7:55 AM

মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) একটি গ্রামের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ঘোরাফেরা করছে। কচিকাচা পড়ুয়াদের স্কুলে (School) পৌঁছনোর সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা একটা নদী (River)। প্রতিবন্ধকতা, কারণ সেই নদীর উপরে ব্রিজ নেই। কিন্তু স্কুলটা যে ওই নদী পার করেই যেতে হবে। অগত্যা উপায় খুঁজে না পেয়ে পড়ুয়াদের ওই স্কুলে পৌঁছে যেতে হচ্ছে জীবন বিপন্ন করে, দড়িতে ঝউলতে ঝুলতে। মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলার গোছপুরা গ্রামের ঘটনা। পড়ুয়াদের দাবি, ঝটপট স্কুলে পৌঁছে যাওয়ার জন্য এটাই সবথেকে ‘শর্ট কাট’ রুট।

জেলার সদর শহর থেকে গোছপুর গ্রামের দূরত্ব মাত্র 60 কিলোমিটার। কিন্তু সদর শহরের এত কাছের একটা গ্রামে পড়ুয়াদের স্কুলে পড়তে যাওয়া, অন্যান্য জরুরি কাজের জন্য যে নদী প্রতিদিন দু’বেলা নিয়ম করে পারাপার করতে হয়, সেখানে আজ পর্যন্ত কোনও সেতু নির্মিত হয়নি।

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, নদীর এপার থেকে ওপার দুটি গাছে বাঁধার রয়েছে দড়ি। গ্রাম ও চাষের জমির ঠিক মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে নদীটি। ওই নদীটি 6 ফুট গভীর এবং 20 ফুট চওড়া। একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে এমনই তথ্য জানা গিয়েছে।

ভিডিয়োতে প্রথমে একটি বাচ্চা মেয়েকে দেখা গিয়েছ। অত্যন্ত সন্তর্পণে ব্যালান্স করে দড়ির উপরে পা দিয়ে সে নদী পার করে স্কুলের পথে চলেছে। তারপরই দেখা যায় এক বয়স্ক মহিলাকে। তাঁর হাতের একটা ব্যাগ। তিনিও এমন বিপজ্জনক ভাবে দড়ির উপর দিয়ে হেঁটে নদী পার করছেন। সম্ভবত, তিনি বাজারে যাচ্ছেন।

এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর তড়িঘড়ি আসরে নামে প্রশাসন। নাইব তহসিলদার শলিজা মিশ্র সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, সকল গ্রামবাসীকে অনুরোধ করব, যাতে এইরকম বিপজ্জনক ভাবে দড়ির উপরে হেঁটে নদী পার না করেন। তবে এর মধ্যেই নদীর উপরে দুটি গাছের মধ্যে সংযোগকারীটি দড়িটি প্রশাসনের তরফ থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।