23 June, 2025

মশা নয়, কেন দিনরাত মশারির ভিতরেই থাকেন বাংলার এই এলাকার মানুষ

TV9 Bangla 

Credit: TV9 Bangla

জানেন বাংলায় একটি গ্রাম রয়েছে যেখানকার বাসিন্দারা সারাক্ষণই থাকেন মশারির ভিতর। শুধু ঘুম নয়, সকাল থেকে রাত সারাক্ষণই থাকেন মশারির ভিতর। কিন্তু কেন? ভাবছেন মশার উৎপাত? না তা মোটেই নয়।

আসলে স্থানীয় একাধিক হ্যাচারি থেকে হাজারে হাজারে ছড়িয়ে পড়ছে মাছি। মাছির তাণ্ডব এতটাই যে স্থানীয় গ্রামগুলির মানুষের দৈনন্দিন গৃহস্থালীর কাজ করতে হচ্ছে মশারি টাঙিয়ে। দিনে দিনে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে আন্ত্রিক থেকে ডায়েরিয়ার মতো অসুখ।

বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লক ও ছাতনা ব্লকের সীমানায় কাশিবেদিয়া এলাকায় রয়েছে একের পর এক বেসরকারি হ্যাচারি। সেই হ্যাচারি থেকে প্রতিদিন হাজারে হাজারে মাছি ধেয়ে যাচ্ছে  কাশিবেদিয়া,তেঘরি,বাঘজুড়ি,জগন্নাথপুর, দলদলি,পড়্যাশোল,বেলিয়া সহ আশপাশের গ্রামে।

মাছির তাণ্ডবে গ্রামগুলির মানুষ এতটাই অতিষ্ট যে মশারির ভিতরেই কাটছে তাঁদের জীবন। রান্নাবান্না করার সময় মাছি এসে পড়ছে খাবারে। খাবার খেতে গেলেও সেই একই অবস্থা। মাছির তাণ্ডবে দুদন্ড শান্তিতে বসে থাকাও দায়। মাছির উৎপাতে গ্রামগুলির পড়ুয়াদের পড়াশোনাও কার্যত লাটে উঠছে।

মাছির তাণ্ডব ঠেকাতে বাড়ির দরজায় দরজায় টাঙিয়ে রাখা হয়েছে মশারি। দুপুরের খাবার থেকে জলখাবার সবকিছুই সারতে হচ্ছে মশারির ভিতরে। মাছির তাণ্ডবে অতিষ্ট হয়ে মাস খানেক আগে বাঁকুড়া পুরুলিয়া ৬০ এ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।

 সে সময় প্রশাসন ও হ্যাচারি মালিকেরা মাছি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এক মাস কেটে গেলেও বাস্তবে  কাজের কাজ কিছুই না হওয়ায় আজ ফের গ্রামের মানুষ হ্যাচারির দরজায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

গ্রামবাসীদের দাবি মাছির মাধ্যমে এলাকায় যেভাবে আন্ত্রিক ও ডায়েরিয়া ছড়িয়ে পড়ছে তাতে দ্রুত পদক্ষেপ না করলে এবার গ্রাম ছেড়ে মানুষকে আশ্রয় নিতে হবে অন্যত্র।

হ্যাচারি কর্তৃপক্ষের দাবি, মাছি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হলেও গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে ফের মাছির তাণ্ডব বেড়েছে। হ্যাচারি কর্তৃপক্ষ যাই বলুক না কেন এবার আর শুকনো প্রতিশ্রুতিতে ভরসা রাখতে পারছেন না স্থানীয়রা।