কলা কম-বেশি আমরা সকলেই খেয়ে থাকি। কলার পুষ্টিগুণের কথাও আমাদের জানা। কিন্তু কলা খেলেও কলার খোসা আমরা বেশিরভাগই ফেলে দিয়ে থাকি।
কিন্তু জানেন কি? কলা যেমন উপকারী, এর খোসার উপকারিতাও কিন্তু কম নয়। বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে কলার খোসা।
কলার খোসায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকে। যার কারণে কলার খোসাকে প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
যদি কোনো পোকা-মাকড় হঠাৎ কামড় দেয় বা চুলকানি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলার খোসা কাজে লাগাতে পারেন। দ্রুত ব্যথা ও চুলকানি সেরে যাবে। মাথা ব্যথার ওষুধ বা কেটে গেলেও লাগাতে পারেন।
ত্বক যদি শুষ্ক আর খসখসে হয় তাহলে কলার খোসার ভিতরের অংশ মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক মসৃণ ও মোলায়েম হয়ে গিয়েছে। এছাড়া মুখের ব্রণ দূর করতে কলার খোসা উপকারী।
প্রাকৃতিক উপায়ে সাদা ঝকঝকে দাঁতের জন্য কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই দাঁত থেকে হলদে ভাবটা কিছুতেই ওঠাতে পারেন না। কলার খোসার ভেতরের দিকটা দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁত মাজুন। দাঁতে ব্যথা কমাতেও কলার খোসা ভালো কাজ করে ।
কলার খোসা শুধু ত্বকের যত্নের জন্য নয়, তা আপনার চুলে আর্দ্রতা এবং চকচকে ভাবও যোগ করতে পারে। চুলে সরাসরি ঘষে হোক বা হেয়ার মাস্কে ব্লেন্ড করা হোক না কেন, কলার খোসা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য প্রাকৃতিক উন্নতি ঘটায়।
ময়লা হিসেবে কলার খোসা ফেলে দেওয়ার চেয়ে তা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এতে অবসাদ দূর হয়৷ কলার খোসায় মুড-নিয়ন্ত্রণ রাসায়নিক সেরোটোনিন থাকে প্রচুর পরিমাণে৷সেই সেরোটোনিন শরীরের অবসাদ দূর করে।