ত্বককে দাগমুক্ত রাখতে ও জেল্লাদার করে তুলতে সঠিক সময়ে সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার করা জরুরি। ক্রিম নাকি সিরাম ভাল, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন ওঠে।
সিরাম ও ক্রিমের মধ্যে কোনটি কোন ত্বকের জন্য ভাল, সেটা জানার জন্য এগুলির উপাদান জানা জরুরি। মূলত, জল-ভিত্তিক দ্রবণ হল সিরাম। এটি ক্রিমের তুলনায় হালকা ও পাতলা হয়।
সিরামের তুলনায় ক্রিম পুরু হয় এবং এটি তেল-ভিত্তিক দ্রবণ। ফলে এটি ত্বকের গভীরে পৌঁছতে সময় নেয়। ক্রিমের উপকারিতা পেতে সময় লাগে।
ত্বকে দ্রুত শোষিত হয় সিরাম। ফলে এটি সহজেই ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং ত্বককে দ্রুত সতেজ করে তুলতে এটি খুবই কার্যকরী।
বলিরেখা, শুষ্কতা, হাইপারপিগমেন্টেশনের মতো সমস্যা দূর করতে সিরাম কার্যকরী। আর ত্বককে ময়শ্চারাইজড রাখতে বিশেষ কার্যকরী ক্রিম। শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্রিম ভাল।
সিরামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা বলিরেখা, দাগ-ছোপ তুলতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। পাশাপাশি ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে ত্বককে আর্দ্র ও জেল্লাদার করে তোলে সিরাম।
আমাদের শৈশবকালে ক্রিমই বেশি ব্যবহার হত। ত্বকের আর্দ্রতা লক করতে সাহায্য করে ক্রিম। তবে বর্তমানে দাগ, বলিরেখা-সহ ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে সিরামের দিকে ঝুঁকছেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা।
সিরাম ও ক্রিম একসঙ্গে ব্যবহার করা যায়। সেক্ষেত্রে প্রথমে ত্বক পরিষ্কার করে সিরাম লাগান, যা ত্বককে পুষ্টি জোগাবে। এরপর ত্বকের আর্দ্রতা লক করতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।