গতবছর ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ঋষভ পন্থ। তারপর প্রায় আটমাস কেটে গিয়েছে। তাঁর দ্রুত সেরে ওঠা নির্ভর করছে খাবারের উপর। ডায়েট বদলে গিয়েছে। পুষ্টির জন্য বাড়ির তৈরি খাবারেই ভরসা পন্থের।
এমএস ধোনির সুপারিশে বিখ্যাত পুষ্টিবিদ শ্বেতা সিং ক্রিকেটারের ডায়েটের দায়িত্বে রয়েছেন। শ্বেতা জানান, হজমে অসুবিধের জন্য পছন্দের চিকেন খেতে পারতেন না ঋষভ
সারাদিনে যেটাই খান সবই কম তেল মশলার এবং হালকা। হজমের সমস্যার সমাধানে দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের দিকে ঝুঁকতে হয়েছে পন্থকে। প্রতিদিনের ডায়েটে থাকে ধোসা। এছাড়া মিষ্টিও খেতে দেওয়া হয়
হজমের সমস্যার জন্য পন্থকে ডি-ব্লোট পাওডার খেতে বলা হয়েছে। শ্বেতা জানান, এতে জঠর অগ্নি সক্রিয় হয়ে উঠবে। ডি-ব্লোট পাওডারের কোনও সাইড এফেক্ট নেই। এতে স্ট্রেসও কমে। মত পুষ্টিবিদের
প্রথমদিকে ডায়েট থেকে চিকেন বাদ দিতে হয়েছিল। রিকভারি পিরিয়ডের প্রথম এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে তাঁর খাবারে লাল লঙ্কার গুঁড়ো এবং গরম মশলার ব্যবহার একেবারে নিষিদ্ধ ছিল। এছাড়া কাঁচা খাবার খেতে বারণ করা হয়।
বর্তমানে পুষ্টিবিদের পরামর্শে চিকেন খাওয়া শুরু করেছেন। সাধারণ চিকেন কারি এবং ভাত বা থাই চিকেন কারি খেতে পারেন তিনি। ঋষভ মাছ পছন্দ করেন না। ব্রেকফাস্টে তাঁর জন্য ডিম এবং অ্যাভোকাডো বরাদ্দ।
পরোটা খেতে ভীষণ ভালোবাসেন। তাই রুটির পাশাপাশি গ্লুটেন ফ্রি পরোটা বানিয়ে দেওয়া হত তাঁকে। পরের ১৫ দিন ক্রিকেটারকে ময়দা, দুধজাতীয় খাবার এবং পনির খেতে দেওয়া হয়নি। একমাস পর পনির দেওয়া হয়।
নিউট্রিশিনিস্ট শ্বেতা সিং বলেছেন, "অনেকেই মনে করেন পন্থ অর্থবান। তাই দামি ওষুধ খেলে সেরে উঠবেন। কিন্তু ডায়েটও ভীষণ জরুরি। এটা ঋষভও মানেন।" বাড়িতে তৈরি করা খুব সাধারণ খাবার খান
পন্থের সেরে ওঠা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চায় না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেরে উঠতে যতদিন সময় লাগবে লাগুক। এই পুরো সময়টাতে ক্রিকেটারের চিকিৎসা-সহ যাবতীয় দায়িত্ব বিসিসিআইয়ের