শিবলিঙ্গ পুজো করার সময় ধারেকাছেও রাখবেন না এই জিনিস
Credit - Instagram
TV9 Bangla
জেনে বা না জেনেই আমরা শিবলিঙ্গে এমন কিছু জিনিস নিবেদন করি, তাতে রুদ্র রূপ ধারণ করতে পারেন মহাদেব।
দাম্পত্য জীবনকে সুখ-শান্তিতে ভরিয়ে তুলতে ভক্তি ও বিশ্বাসের সঙ্গে ভোলেনাথের পুজো করে থাকেন। পুজো করার সময় কী কী মাথায় রাখবেন?
শিবলিঙ্গে ভাঙা চালও অর্পণ করা উচিত নয়। এই নৈবেদ্যকে অশুভ বলে মনে করা হয়। তাতে অত্যন্ত রেগে যান ভোলেবাবা।
লাল আবির, সিঁদুর দিয়ে অন্যান্য দেবতাদের আরাধনা করা গেলেও মহাদেবের পূজায় তা ব্যবহার নিষিদ্ধ। হলুদের মতো এগুলিকেও স্ত্রীলিঙ্গের উপাদান হিসেবে ধরা হয়।
শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে হলুদ নারীর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত একটি বস্তু। তাই শিবলিঙ্গকে পুরুষ উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই কারণে শিবের পুজোয় হলুদ ব্যবহার করা উচিত নয়।
আখের রস, দুধ, মধু, দই ইত্যাদি ভগবান শিবের পুজোয় নিবেদন করা হয় কিন্তু নারকেল বা নারকেল জল দেওয়া হয় না।
হিন্দুধর্মে তুলসী সমস্ত ঐশ্বরিক কাজে পবিত্রতার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু শিবের উপাসনায় তুলসী ব্যবহার করা হয় না। কিংবদন্তি অনুসারে, ভগবান শিব তুলসীর স্বামী অসুর জলন্ধরকে হত্যা করেছিলেন, তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে তুলসী নিজেই ভগবান শিবের পুজো করতে অস্বীকার করেছিলেন।
ভগবান শিবের পূজায় শঙ্খ ব্যবহার করা হয় না। কিংবদন্তি অনুসারে, শঙ্খচুর নামে এক রাক্ষস সমস্ত দেব-দেবীদের অত্যাচার করে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। সেই সময় ভগবান শিব তাকে ত্রিশূল দিয়ে বধ করেন।
লাল রঙের ফুল যেমন পদ্ম ইত্যাদি শিবলিঙ্গে নিবেদন করা হয় না। এই ফুলগুলি ছাড়াও শিবলিঙ্গে অন্যান্য ফুল নিবেদন করা যেতে পারে।