বলিপাড়ায় তাঁদের বিচ্ছেদের খবর তুঙ্গে। অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের বিয়ে নাকি ভাঙছে। গত কয়েক মাস ধরে এই একটাই কথা শোনা যাচ্ছে। নেপথ্যে নাকি রয়েছেন শাশুড়ি জয়া বচ্চন এবং ননদ শ্বেতা বচ্চন। তাঁদের জন্যই নাকি বাড়ি ছেড়েছেন নায়িকা।
যদিও এখনও পর্যন্ত ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের কেউই তাঁদের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে কোনও কথা বললেনি। তবে মুকেশ অম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত অম্বানির বিয়েতে তাঁদের দেখে জল্পনা আরও জোড়াল হয়। এই আলোচনার মাঝেই ভাইরাল তারকা দম্পতির আর এক ঘটনার কথা।
বিয়ের অনেক আগে থেকে বড় পর্দায় জুটিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের জুটি নিয়ে বেশ আলোচনাও হয়েছিল। তেমনই একটি ছবির শুটিংয়ের গল্পই করেছিলেন অভিষেক।
২০০৩ সালে 'কুচ না কহো' নামক একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তাঁরা। সেই ছবির শুটিংয়েরই একটি গল্প শোনান অভিষেক। সেই ছবির টাইটেল ট্র্যাক শুটিং করতে যাওয়ার সময় যা ঘটেছিল। অভিষেকের সেই পুরনো গল্পই বর্তমানে নেটপাড়ায় রীতিমতো ভাইরাল।
ছবিটির টাইটেল ট্র্যাকের শুটিংয়ের জন্য মালেশিয়া যাচ্ছিলেন তাঁরা। বিমানে যাওয়ার সময় ঐশ্বর্যর পাশে বসতে চাননি অভিষেক। তার নেপথ্যে অবশ্যই রয়েছে কাহিনি। যদিও সে সময় অবশ্য তাঁদের বিয়ে হয়নি।
সেই ছবির শুটিংয়ের সময় সম্পর্কেও ছিলেন না তাঁরা। বিমানে উঠে ভগবানের নাম জপতে থাকেন অভিষেক। নায়কের প্রার্থনা ছিল ঐশ্বর্যর সিট যেন কোনও ভাবেই তাঁর পাশে না পড়ে। কিন্তু যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধে হয়।
অভিষেকের পাশেই সিট পড়েছিল ঐশ্বর্যর। এমনকি রাস্তায় যেতে যেতে বিমানেই ঘুমিয়ে পড়েন ঐশ্বর্য। কিন্তু নায়িকাকে এমন ভয় পেয়েছিলেন তিনি যে সারা রাত আতঙ্কে ঘুমোতে পারেননি অভিষেক।
অভিষেক এক সাক্ষাত্কারে জানান, মিস ওয়ার্ল্ড তাঁর পাশে ঘুমোবেন সেট তিনি ভাবতেই পারছিলেন না। শুধু তাই নয় তিনি জানান যে, সত্যিই ঐশ্বর্য নাকি ঘুমোনও মিস ওয়ার্ল্ডের মতো। তাই আরও বেশি চাপ নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।