বলি অভিনেতা তথা ছোটে নবাব, সইফ আলি খানের উপর, ছুরিকাঘাতের পর থেকেই আলোচনায় তিনি। নানা প্রশ্ন উঠেছে তাঁর পারিবারিক সম্পত্তি নিয়েও।
আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে তাঁদের পতৌদি এস্টেটও। যদিও আইন বলছে শত্রু সম্পত্তি আইন ১৯৬৫ অধীনে সেই সব সম্পত্তি কানাকাড়ি পাবেন না কেউই। তবে এই পতৌদিরা আসলে কে জানেন?
কোথা থেকে ভারতে এসেছিল সইফ আলি খানের পূর্ব পুরুষরা? জানেন সেই রহস্য? সইফ আলি খান ও তাঁর পূর্ববর্তী প্রজন্ম পতৌদি রাজ্যের অন্তর্গত। নবাব ফয়েজ তালাব খান এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা।
বলা হয় পতৌদি রাজবংশের প্রথম নবাব ছিলেন ফয়েজ তালাব খান। জানা যায়, তিনি নাকি পশতুন বর্ণের ছিলেন। সেই সময় থেকেই ব্রিটিশদের খুব ভাল সম্পর্ক পতৌদি পরিবারের।
নবাব ফয়েজ তল্যাব খান ছিলেন আফগানিস্তানের বাসিন্দা। সেই সময় আফগানিস্তানের কান্দাহারে থাকতেন তিনি ও তাঁর পরিবার। উপহার হিসাবে নাকি নিজের সাম্রাজ্য পেয়েছিলেন নবাব।
শোনা যায়, যখন ব্রিটিশদের সঙ্গে মারাঠাদের ভীষণ যুদ্ধ হয়, সেই সময় ব্রিটিশদের বিশেষ ভাবে সাহায্য করেন ফয়েজ। তাঁর পরেই পতৌদি রাজ্য উপহার হিসাবে পান তিনি।
সইফ আলি খানের বাবা মনসুর আলি খান ছিলেন নবাব। এক সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
মনসুর আলি খানের বাবা ছিলেন ইফতিখার আলি খান পতৌদি। ক্রিকেট খেলায় তাঁর জুড়ি মেলা ছিল ভার। ইংল্যান্ড এবং ভারত দুই ক্রিকেট দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি।