কুমড়ো, রাঙাআলু, কাঁচকলা দিয়ে এমন কিছু সবজি দিয়ে এমন কিছু নিরামিষ সাবেকি রান্না রয়েছে যার স্বাদ অসাধারণ। গরম ভাতে এই সবজির তরকারি থাকলে আর অন্য কোনও কিছুর প্রয়োজন পড়ে না। এর মধ্যে রয়েছে কুমড়োর ছেঁচকি, ঘন্ট আর ছক্কা
রাঙাআলু, কুমড়ো দিয়ে দারুণ একটি নিরামিষ চচ্চড়ি বানানো যায়। এই তরকারি গরম ভাত, রুটি বা লুচির সঙ্গে খেতে খুবই ভাল লাগে। বানিয়ে দিতে পারেন স্কুল, অফিসের টিফিনেও
রাঙাআলু, কুমড়ো ডুমো ডুমো করে কেটে নিন। আর কোনও সবজি লাগবে না এতে। কড়াইতে এক চামচ সরষের তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা পোড়ন দিন। এবার এক চিমটি পাঁচফোড়ন দিন
সুন্দর গন্ধ উঠলে কেটে রাখা কুমড়ো, রাঙাআলু এর মধ্যে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার এতে স্বাদমতো নুন, হলুদ মিশিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। কুমড়ো আঁচ কমিয়ে নাড়াচাড়া করলে যে জল বেরোবে তাতেই সিদ্ধ হয়ে যাবে
এবার একটা বাটিতে তেঁতুলের পাল্প আর সামান্য জল দিয়ে ভাল করে গুলে নিন। সবজি নরম হলে তেঁতুলের পাল্প ছেঁকে ওই রান্নার মধ্যে মিশিয়ে দিতে হবে। তেঁতুল দেওয়াতে খুব সুন্দর একটা স্বাদ আসে
মাছের টকে তেঁতুল দিলে যেমন ভাল লাগে খেতে তেমনই এই কুমড়ো-রাঙাআলুর সবজিতেও টক মেশালে ভাল লাগে। সবজি আর একবার নেড়েচেড়ে ২ চামচ সরষে বাটা ছেঁকে মেশান তরকারিতে
যেহেতু তেতুলের টক তাই একটু আখের গুড় মিশিয়ে দিন এতে। এতে স্বাদ আরও ভাল হয়। টক-মিষ্টি দু রকম স্বাদই থাকে। এবার ভাল করে ফুটিয়ে উপর থেকে কয়েকটা কাঁচালঙ্কা চিরে ছড়িয়ে দিন
গরম ভাতে এই কুমড়ো-রাঙাআলুর টক খেতে খুবই ভাল লাগে। এই তরকারি দিয়ে পরিমাণ মত ভাত দিয়ে মেখে খান। এতে পেট ভরবে, শরীর পুষ্টি পাবে। ওজন কমাতেও এই সবজির তরকারির কোনও জুড়ি নেই। এর মধ্যে মাছ দিয়ে আবার টকও বানাতে পারেন