ছোটবেলার স্মৃতি ফিরবে একবার মুখে দিলেই

08 September 2023

ছোটবেলার যত স্মৃতি রয়েছে তার মধ্যে এই একটা গল্পে সবার সঙ্গে মিল রয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা নব্বই এর দশকে বড় হয়েছেন, কমবেশি সকলেই আচার চুরি করে খেয়েছেন

রোদে আচারের বয়াম দেওয়া থাকলে যেমন সেখান থেকে বের করে খেয়েছেন তেমনই মেলার দোকান থেকে বার বার চেয়ে আচার টেস্ট করার গল্প তো আছেই

শীতের দুপুরে বাড়িতে আচার তৈরির একটা কালচার ছিল আজ থেকে ১৫ বছর আগে। চিলেকোঠায় কত নিষিদ্ধ বই এর সাক্ষীও থাকত এই আচার। ভাগাভাগি আর চুরি করে খাওয়ার মধ্যে যে মজা থাকে তা অন্য কোথাও থাকে না

আচার বললে মনে পড়ে স্কুলে ছুটির পর বাইরে বেরিয়ে ঠেলাগাড়ি থেকে আচার কিনে খাওয়া। সময়ের সঙ্গে হারিয়েছে শৈশব, এখনকার বাচ্চাদের মধ্যে আচার খাওয়ার সেই উন্মাদনা নেই

আর তাই আজ রইল চালতার আচারের রেসিপি। আমরা কথা দিচ্ছি এই আচার একবার বানিতে বানিয়ে খেলে ছেলেবেলার স্বাদ ফিরবেই। দেখে নিন কী করে বানাবেন এই সুস্বাদু বস্তুটি

চালতা কাটার বিশেষ টেকনিক রয়েছে। পিচ্ছিল হওয়ায় সকলেই একটু সমস্যায় পড়েন। আর তাই সাবধানে চালতা কাটতে হয়। ছুরির পরিবর্তে বঁটি ব্যবহার করাই এক্ষেত্রে সবচাইতে ভাল

চালতা কেটে একবাটি হলুদ জলের মধ্যে রাখবেন। নইলে কালো হয়ে যায়। এবার এই চালতা একটু থেঁতো করে ভাপিয়ে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে সরষের তেল দিয়েপাঁচফোড়ন আর তেজপাতা ফোড়ন দিন

এবার নুন, চিনি, ভাজা মৌরি গুঁড়ো, সর্ষে বাটা, গুড় আর শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে এর মধ্যে। সব কিছু যাতে চালতার সঙ্গে ভাল করে মিশে যায় সেদিকে নজর রাখুন। একটু জিরে শুকনো ভেজে গুঁড়ো করে রাখবেন

এবার গুড় দিয়ে পাক করুন। চালতার আচার গুড় দিয়ে খেতেই সবচাইতে ভাল লাগে। যত ভাল গুড়ের পাক হবে ততই আচারের স্বাদ খুলবে। তাই গুড় পরিমাণ বুঝে ব্যবহার করুন, ঠান্ডা হলে কাঁচের বয়ামে রাখুন