শেষ ৭ বছরে শহরে বেড়েছে তন্দুরি চিকেনের ক্রেজ। তা সে বিয়েবাড়ি হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা। কফি আর পছন্দের পানীয়ের সঙ্গে তুফান তুলতে পারে এই চিকেন
পাড়ার মোড়ে মোড়ে এখন তন্দুরি চিকেনের দোকান। অফিস থেকে ফেরার পথে অনেকেই সেই সব দোকানে একবার ঢুঁ মেরে যান, সেই সঙ্গে লাইনও পড়ে বেশ দোকানগুলিতে
আজকালকার রসনাতৃপ্তিতে ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে এই তন্দুরি চিকেন। ৮-৮০ সকলেই দেদার খাচ্ছেন। তবে এই চিকেন নিয়েই উদ্বিগিন পুষ্টিবিদদের একাংশ
শোনা যাচ্ছে এই চিকেনে রোজ এক কামড় করে বসালে একাধিক সমস্যা হতে পারে। এমনকী ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগেরও সমস্যা থেকে যায়
সেই সঙ্গে বাড়ে ক্রনিক রোগের ঝুঁকি। এরপরও খাওয়া থামাচ্ছেন না অনেকে। তাঁদের মতে এই পোড়া চিকেনে তেল থাকে না, ফলে তা শরীরের জন্য ভাল। তবে পুষ্টিবিদরা এই ভ্রান্ত যুক্তিতে মোটেই শিলমোহর দিচ্ছেন না
তন্দুরি চিকেন বা ওই জাতীয় যে কোনও পদ বানাতে প্রচুর পরিমাণে তেল, ঘি বা ডালডা ব্যবহার করা হয়। আর এতেই শরীরের বারোটা বাজে। সুগার-কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড সব বেড়ে যায়
গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে চারকোল পুড়িয়ে খাবার গুলি তৈরি করায় এর মধ্যে কার্সিনোজেন অনেকটা পরিমাণে উৎপন্ন হয়। যা ক্যানসারের অন্যতম কারণ। তাই পোড়া খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল
তন্দুরি চিকেন যদি ঠিকমতো সেদ্ধ না হয় তাহলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। মাংস ঝলসে খেলেও ভেতর অনেক সময় কাঁচা থেকে যায়। এর থেকে কৃমি হতে পারে
তবে একান্তই খেতে চাইলে বাড়িতে বানিয়ে খান। বাড়িতে বানানো খাবারের মধ্যো স্বাস্থ্যঝুঁকি কম। তবে মাসে একবারের বেশি বানিয়ে খাবেন না