ভাদ্র মাসে কমবেশি শরীর খারাপ অসুস্থতা সব বাড়িতেই লেগে থাকে। সর্দি-কাশি, সংক্রমণ জনিত সমস্যা, জ্বর, পেটের সমস্যা কিছু না কিছু চলছেই
কোভিড পরবর্তী সময়ে অনেকেরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে আর এর জন্য বহুবিধ সমস্যাও হচ্ছে। মাথা গোরা, হঠাৎ পেটখারাপ- আরও অনেক কিছু রয়েছে
গাদা গাদা অ্যান্টিবায়োটিক খেলেই যে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেড়ে যাবে এমনটা একেবারেই নয়। তার জন্য নিজের রোজকারের জীবনেও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে
বাইরের খাবার কম খাওয়া, ঘরের খাবারের উপর ভরসা রাখা এই সব চালিয়ে যেতে হবে। ভাদ্র মাসে রোজ সকালে একমুঠো ছোলার সঙ্গে একটু গুড় খেতে বলেন মা-ঠাকুমারা
নিয়মিত এই খাবার খেলে পিত্তি পড়ে না। এমনকী কোনও রকম হজমের সমস্যাও আসে না। পাশাপাশি একগ্লাস জলে একটু আখের গুড় আগের রাতে ভিজিয়ে রেখে খান। এতেও অনেক উপকার হবে
গুড় প্রাকৃতিক মিষ্টি। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় খনিজ ঠাসা থাকে। আজকাল হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া, ক্ষয়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে অনেকেই ভুগছেন। গুড়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান
আর তাই সকালে গুম থেকে উঠে এক গ্লাস গুড় জল খেলে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকেরা হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে গুড় জলের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন
আমাদের দেশে অধিকাংশ মেয়েই ভোগেই অ্যানিমিয়াতে। রক্তাল্পতা হলে শরীরে একাধিক সমস্যা হয়। হজম শক্তি কমে যায়, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা এসব হয়। এই সমস্যা রুখে দিতেও গুড় জলের কোনও রকম তুলনা নেই
শরীরকে ডিটক্স করার কাজে গুড় জলের তুলনা নেই। প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবে কাজ করে। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। নইলে সেখান থেকে হতে পারে একাধিক সমস্যা, এই কাজটিও সামলে দেয় গুড় জল