কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছের ঝোল আর ভাত খেতে বাঙালিরা যা ভালবাসে তা আর অন্য কোনও খাবারে আসে না। সে যতই বিরিয়ানি, মাটন এসব থাক না কেন। ছোট মাছ, নদীর মাছ, পুরৃকুরের মাছ এক একরকম মাছের এক একরকম রেসিপি
কই, মাগুর, শোল, খয়রা, রই, কাতলা, ট্যাংরা, পাবদা, পার্শে, পমফ্রেট, তেলাপিয়ার সঙ্গে মানুষ পরিচিত হলেও অনেকেই এই রূপচাঁচা মাছের নাম জানেন না। ঠাকুরবাড়িতে এই মাছের বিশেষ কদর রয়েছে
রবীন্দ্রনাথের কিছু লেখাতেও উল্লেখ রয়েছে রূপচাঁচা মাছের। অনেকে আবার এই মাছকে ইলিশের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। তবে এই দুই মাছ একেবারেই আলাদা, রূপচাঁদা হল নদীর মাছ
মাছ ধুয়ে বেছে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখতে হবে। এবার সরষের তেলে বেশ লাল করেই ভাজা হবে। এই মাছের কড়া ভাজা হলে খেতে বেশি ভাল লাগে। মাছ ভেজে তবেই রান্না শুরু করুন
যে তেলে মাছ ভাজছেন সেই তেলেই তেজপাতা, গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে ওর মধ্যে এক বাটি পেঁয়াজ কুচি মিশিয়ে দিতে হবে। বেশ বাদামী ভাজা হলে আদা-রসুন বাটা, মাঝারি মাপের টমেটো কুচি মেশান
এবার হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা, জিরে, ধনে, আর খুব সামান্য গরম মশলা গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার ওর মধ্যে ১/৪ কাপ জল দিয়ে রান্না করতে থাকুন। এতে টমেটো নরম হয়ে মিশে যাবে
এবার হাফ কাপ ফেটিয়ে রাখা টকদই মিশিয়ে দিন গ্রেভিতে। একেবারে অল্প পরিমাণ চিনি দিতে হবে। এতে তরকারিতে মিষ্টি ভাব থাকবে না। ঢাকা চাপা দিয়ে ১০ মিনিট কষালে তেল ছাড়বে
এবার এক ছোট বাটি জল, স্বাদমত নুন দিয়ে ফুটতে দিন। ঝোল ফুটে উঠলে ওর মধ্যে মাছ দিন। গোটা কাঁচালঙ্কা দিয়ে ফোটাতে থাকুন। ঝোলের উপর তেল ভাসলেই তৈরি হয়ে যাবে রূপচাঁদার ঝাল, গরম ভাতে পরিবেশন করুন