একটা সময় শীতের দুপুর মানেই বাড়িতে বাড়িতে বড়ি, আচার, মোরব্বা এসব তৈরি করা হত। শীতের দুপুরে পিঠ দিয়ে বসে মেয়েরা বড়ি শুকনো করতেন। কাঁচের বয়াম থেকে আচার চুরি করে খাওয়ার মজাই ছিল আলাদা
কত রকমের বড়ি তখন তৈরি হত বাড়িতে। ছোলার জালের বড়ি, মুসুর ডালের বড়ি, মুগ কলাই এর বড়ি, ঝোলের বড়ি, শুক্তোর বড়ি, ভেজে খাওয়ার জন্য বড়ি- বড়ির কোনও শেষ নেই
এবার বড় দিয়েই বানিয়ে নিন পুরনো দিনের এই জোল রেসিপি। শুক্তোয় বড়ি দিলে যেমন খেতে ভাল লাগে তেমনই বড়ি দিয়ে মাছের ঝোল খেতেও খুব সুন্দর লাগে। বড়ির এই ঝোল খেতে খুবই ভাল হয়, দেখুন রেসিপি
পুজোর দিনেও বানাতে পারেন এই বড়ি পোস্ত। অনেক বাড়িতে ভোগেও থাকে এই রেসিপি। পোস্ত আগে থেকে জলে ভিজিয়ে রেখে বেটে নিতে হবে। কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে ১০ টা বড়ি ভেজে নিতে হবে
বাকি তেলে একটু কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে মাঝারি মাপের কেটে রাখা আলু, কাঁচালঙ্কা বাটা ১ চামচ মিশিয়ে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে, এবার পরিমাণ মত জল দিয়ে তা সেদ্ধ করতে দিন। স্বাদমতো নুন দিন
আলু সেদ্ধ হওয়ার জন্য আপেক্ষা করুন। ৮০ শতাংশ আলু সেদ্ধ হলে ভেজে রাখা বড়ি মিশিয়ে দিতে হবে। দু মিনিট ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে আলু সেদ্ধ করে ওর মধ্যে বেটে রাখা এক বাটি পোস্ত মিশিয়ে দিন
বড়ি, আলুর মধ্যে যাতে রস ঢোকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এতে স্বাদ বেশি ভাল হয়। এই পোস্ত ঝোল ঝোল খেতে বেশি ভাল লাগে। ঝোল ফুটে এলে উপর থেকে এক চামচ সরষের তেল আর কাঁচা লঙ্কা চিরে ছড়িয়ে দিতে হবে
মেদ ঝরাতে শরীরচর্চার ভূমিকা যদি ৩০ শতাংশ হয় বাকি ৭০ শতাংশ জোর দিতে হবে ডায়েটে। নিয়ম করে ক্যালোরি মেপে খাবার খেতে হবে। বেশি কার্বোহাইড্রেট খেলে ওজন কমবে না, শরীরে বাড়বে ক্লান্তি