রসনাতৃপ্তি না হলে মনটাও যেন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এই রসনাতৃপ্তি যে আপনার কিডনির অতৃপ্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে, সেই ধারণা আছে? জানেন আমাদের নিত্য খাদ্য তালিকায় থাকা এমন অনেক খাবার আছে যা বারোটা বাজাচ্ছে আপনার কিডনির।
যা গরম তাতে রাস্তায় কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলেই মনে হয় একটু কোল্ড ড্রিংক্স খেয়ে নিই। কিন্তু কালো রঙের নরম কার্বোনেটেড পানীয়, যেমন - কোকাকোলা বা থামস আপ জাতীয় কোল্ডড্রিংক্স। কালো রং আসে ফসফেট থেকে যা কিডনির জন্য খারাপ।
অ্যাভোকাডো টোস্ট হোক বা এমনি কাটা অ্যাভোকাডো, দুই খেতে বেশ ভাল। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে তাঁদের এই ফল না খাওয়াই ভাল।
সকালে ভাত আর রাতে রুটি, এই রুটিনে অভ্যস্ত অনেকে। তবে চিকিৎসকদের মতে গোটা গম থেকে তৈরি আটার রুটি না খাওয়াই ভাল। এতে ফসফরাস, পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে।
আজকাল নতুন ট্রেন্ড হয়েছে ব্রাউন রাইস খাওয়া। ডায়েট করলে অনেকেই কাবোহাইড্রেট ইনটেক কমাতে ব্রাউন রাইস খান। এতেও ফসফরাস এবং পটাশিয়াম বেশি। তাই কিডনি রোগীদের কাছে বিষ।
কলা কোষ্ঠকাঠীন্যের রোগীদের অব্যর্থ ওষুধ। কিন্তু এতেও থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। কমলা লেবু বা তার রস কম খেতে হবে। ফল হিসাবে আনারস কিডনির রোগীদের জন্য বেশ ভাল।
একই ভাবে দুগ্ধজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাংস কম খাওয়া ভাল এতে ফসফরাস এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। কিডনির রোগীদের আলু ও রাঙা আলু কম খেতে হবে। টমেটো খাওয়া একদম কমিয়ে দিতে হবে।
প্যাকেটজাত খাবার যেমন ইনস্ট্যান্স নুডুলস বা অনান্য খাবারে থাকে উচ্চ মাত্রার নুন অর্থাৎ সোডিয়াম এবং প্রক্রিয়াকরণ রাসায়নিক। শেষ হল শাক কম খেতে হবে। এর মধ্যে অনেক খাবারের ভাল গুণ থাকলেও কিডনির রোগীদের জন্য বিষ।