বাদামি না সাদা কোন ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি? শরীরের জন্য কোনটি ভাল?
credit:Unplash
TV9 Bangla
চিকিৎসকরা প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তত একটি করে ডিম রাখার কথা বলেন। এতে যেমন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, তেমছে প্রচুর খনিজ পদার্থও। অনেকে আবার ডিমের কুসুম বাদে সাদা অংশ খাওয়ার কথাও বলেন।
কেউ মুরগির ডিম পছন্দ করেন কেউ আবার হাঁসের ডিম ভালোবাসেন। কোনও ডিমের রং সাদা হয় তো কেউ খান বাদামি ডিম। প্রশ্ন শরীররে জন্য কোনটা খাওয়া ভাল, জানেন?
ডিমের রং নির্ভর করে মুরগি এবং তার জিনের উপরে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণত সাদা রঙের মুরগির ডিম সাদা হয় এবং বাদামি রঙের মুরগির ডিম বাদামি হয়। যদিও উলটোটাও হয়, সেটা নির্ভর করে জিনের উপরে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, একটা ডিম তৈরি হতে প্রায় ২৬ ঘন্টা সময় লাগে। প্রথমে মুরগির কুসুম তৈরি হয়। ৩ ঘণ্টা সময় লাগে কুসুমের চারিদিকের সাদা অংশ তৈরি হতে। সবশেষে তৈরি হয় ডিমের খোলা।
ডিমের খোসা নির্মাণে সময় লাগে প্রায় ২০ ঘন্টা। প্রথমে সাদা থাকলেও, শেষে ডিমের খোসায় রং ধরে। প্রশ্ন হল কোন ডিম খাওয়া ভাল? কার পুষ্টিগুণ বেশি?
বিশেষজ্ঞরা বলেন ডিমের রঙের কারণে পুষ্টির হেরফের ঘটে না। কোন ডিমের কতটা পুষ্টিগুণ তা নির্ভর করে মুরগি কী খায় তার উপরে। যদি সেই মুরগি উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খায় তাহলে ডিম পুষ্টিগুণে ভরা হয়।
বিশেষ করে যে সব মুরগির ডায়েট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ হয় তাদের ডিম ভালো মানের হয়।
পুষ্টিবিদদের মতে, যেসব মুরগি প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিকর খাবার খুঁজে খায়, তাদের ডিমে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, খনিজ উপাদান ও ফ্যাট বেশি থাকে। উলটো দিকে খামারের মুরগির ডিমে পুষ্টিগুণ কম হয়।