প্রোটিন এবং আয়রনের মতো, ক্যালসিয়াম শরীরের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরিহার্য। ক্যালসিয়াম এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা রক্ত জমাট বাঁধতে, পেশী সংকোচন এবং স্নায়ুর কার্যকারিতায় অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে
এ ছাড়া এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হাড়, দাঁত, হার্ট, মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে। সামগ্রিকভাবে, ক্যালসিয়াম শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর অভাব দুর্বল হাড়, দাঁতের সমস্যা এবং অন্যান্য অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
কিভাবে প্রোটিনের অভাব কাটিয়ে উঠবেন? এটা বিশ্বাস করা হয় যে দুধ এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত পণ্যই ক্যালসিয়ামের একমাত্র উৎস। কিন্তু যাদের দুগ্ধজাত খাবারে অ্যালার্জি আছে বা খাবেন না, তারা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করবেন কীভাবে?
চিয়া বীজ আজকাল ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এই ক্ষুদ্র, পুষ্টি সমৃদ্ধ বীজ শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। শুধু তাই নয়, এই বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়
সবুজ শাক-সবজিতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণও অনেক বেশি। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে কেল ও পালং শাক। মাত্র এক কাপ রান্না করা শাকে প্রায় ১৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে
ভিটামিন এ, সি এবং কেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এই সবজিতে। এগুলিকে আপনার সালাদে যুক্ত করুন, ভাজা খাবারের সাথে মিশ্রিত করুন এবং আরও ক্যালসিয়াম পেতে আপনার সবুজ স্মুদিতে যোগ করুন
নিরামিষাশীরা টফু খেয়ে তাদের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারে। আধা কাপ টফু পরিবেশন থেকে আপনি ৮৬১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পেতে পারেন
এছাড়া এতে প্রোটিনের পরিমাণও বেশি। সবজি দিয়ে ভাজুন, স্মুদিতে ব্লেন্ড করুন, গ্রিল করুন এবং সালাদ বা স্যান্ডউইচে যোগ করুন।
জমাট বাঁধতে, পেশী সংকোচন এবং স্নায়ুর কার্যকারিতায় অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে
কনো ডুমুরে প্রায় 162 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি ফাইবার এবং পটাসিয়ামে পরিপূর্ণ। ডুমুর আপনাকে ম্যাগনেসিয়ামও সরবরাহ করে। এই খাবারটি পেশী মজবুত করতে, হার্টকে সুস্থ রাখতে, হাড়কে মজবুত করতে, রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে