আমাদের দেশে নানা ধরনের ছোট মাছ পাওয়া যায়। যেকোনো পুকুর, নদী অথবা জলাশয়ে এই মাছ পাওয়া যায়। তাই ছোট মাছ নিয়মিত খেলে যেসব উপকারিতা পাবেন তা জেনে নিন...
কাঁটাসহ ছোট মাছ ক্যালসিয়ামের এক অনন্য উপাদান। ছোট পুঁটি, স্বরপুঁটি, ছোট চিংড়ি, কাঁচকি, কৈ, শিং, মাগুর, মৌরলা, ইত্যাদি মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে
মানবদেহে দৈনিক প্রচুর ক্যালসিয়ামের চাহিদা থাকে। বিশেষ করে বাড়ন্ত শিশু, গর্ভবতী মা এবং প্রসূতি মায়েদের।হাড় ও দাঁত গঠনে ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন আমাদের ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ ছোট মাছ খাওয়া উচিত
উঠতি বয়সী শিশুদের জন্য প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৩ এবং ভিটামিন ডি যুক্ত গুঁড়া বা ছোট মাছ খুবই উপকারী। ছোট মাছে অসম্পৃক্ত চর্বি আছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী
এছাড়া আয়রন, প্রোটিন, ফসফরাস, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২, ফ্যাটি অ্যাসিড, লাইসনি ও মিথিওনিনেরও ভাল উৎস ছোট মাছ। ছোট মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে
যা রাতকানা, অন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়াও দৈনন্দিন অনেক শারিরীক সমস্যা দূর করতে সক্ষম। শিশুদের রাতকানা রোগ ঠেকাতে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ ছোট মাছ খাওয়ান। দৃষ্টিশক্তির জন্যও ছোট মাছ খাওয়া দরকার
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাঁরা ছোট মাছ খেতে পারেন। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম পুঁটি মাছে আছে ১০৬ ক্যালোরি শক্তি
১০০ গ্রাম ট্যাংরা মাছে ১৪৪ ক্যালরি শক্তি মিলবে। এতে প্রোটিন ১৯.২ গ্রাম, চর্বি ৬.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭০ মিলিগ্রাম। আয়রন আছে ২ মিলিগ্রাম। অ্যানিমিয়ার রোগীদের ট্যাংরা মাছ খাওয়া উচিত