ড্রাগন ফল বর্তমানে অতি সুপরিচিত একটি নাম। আবহাওয়া অনুযায়ী এখন সারাদেশেই কম-বেশি চাষ হচ্ছে বিদেশি এই ফল। সবচেয়ে ভালো উৎপাদিত হয় পাহাড়ি এলাকায়।
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিজেন আছে। ক্যালসিয়াম আছে ভালো পরিমাণে। যাঁদের বোন ডেনসিটি বা হাড়ের কোনো সমস্যা আছে তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য ড্রাগন ফল অত্যন্ত উপকারী।
বাচ্চাদের ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিনের চাহিদা পূরণে ড্রাগন ফল দেওয়া যেতে পারে। চোখের সমস্যা বা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে শুধু বাচ্চাদেরই নয়, বড়দের শরীরেও ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিনের যোগান দেয় ড্রাগন ফল।
ওমেগা ৩ উপাদানটি শরীরে তৈরি হয় না। বাইরে থেকে এর জোগান দিতে হয়। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ পাওয়া যায়।
তাই অন্য যেকোনো ফলের তুলনায় শরীরে ওমেগা ৩ এর চাহিদা পূরণে কার্যকরী ড্রাগন। পিসিওএসের সমস্যার জন্য নারীদের ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ওমেগা ৩ গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাগন ফলে ভিটামিন বি ও থায়ামিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ড্রাগন ফলে যে ছোট ছোট বীজগুলো থাকে তাতে আছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি, প্রোটিন।
ড্রাগন ফলো আয়রনও পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। ড্রাগন ফলে থাকে ফাইবারও। কোলনের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলাস এ ধরনের ক্ষেত্রে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ফাইবার অনেক বেশি দরকার হয়।
গর্ভাবস্থায় নারীদের জন্য ড্রাগন ফল ভীষণ উপকারী। তাই এই সময় ড্রাগন ফল খেতে পারেন। তাতে উপকার পাওয়া যাবে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।