তেঁতুল খেলে জিভে জল আসে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। জানেন কি শুধু স্বাদ নয়, গুণেরও শেষ নেই তেঁতুলের।
তেঁতুলে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান পরোক্ষভাবে রক্তের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তেঁতুলে উপস্থিত উৎসেচক শরীরে শর্করার শোষণ মাত্রা কমিয়ে দিয়ে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।
ফলে ডায়াবেটিকরা যদি ওষুধের পাশাপাশি নিয়ম করে তেঁতুলও খান, তা হলে সুস্থ থাকবেন। নিয়মিত অল্প পরিমাণে তেঁতুল খান।তেঁতুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে রোজ তেঁতুল খেতে পারেন।
হৃৎপিণ্ডেকে সুরক্ষিত রাখতেও দারুণ উপকারী তেঁতুল। হৃদরোগোর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই খেতে পারেন, উপকার পাবেন। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে গরম জলে তেঁতুল আর গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
তেঁতুলে থাকা ভিটামিন সি আর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
তেঁতুলে থাকা হাইড্রক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে চর্বি জমতে দেয় না। এই অ্যাসিড সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়িয়ে খিদে কমায়।
ফলে ঘন ঘন খাওযার প্রবণতা কমে। এ ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় তেঁতুলের শরবত রাখতে পারেন। উপকার পাবেন।
তেঁতুলে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে ভিতর থেকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। কোনও সমস্যা ত্বকের কাছে ঘেঁষতে দেয় না। একই ভাবে, চুলের যত্নেও তেঁতুলের ভূমিকা অপরিসীম।